কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩, ০৯:২৭ পিএম

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আল্লেক আলী (৪৫) কে যাবজ্জীবন ও ভাসুর মনাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ২৫ হাজার ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও একবছর ও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

১৯ মার্চ রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম আসামী (নিহতের ভাসুর) মনার উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী আল্লেক আলী (পলাতক) ও মনা ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রামের সোনা উল্লাহর ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায় ২০০৬ সালের ৩০ জুন আল্লেক আলীর স্ত্রী হাফিজা খাতুন ভোরে বাড়ীর পাশে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তার মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ হাফিজা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্তে জানা যায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনার আড়াই মাস পর নিহতের মামা আসমত আলী বাদী হয়ে নিহতের স্বামীসহ ৬জন বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু জাফর মামলাটির তদন্ত শেষে নিহতের স্বামীসহ ৬জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৪ এপ্রিলে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন এবং বাকী ৪জনকে খালাস দেন।

আদালতের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, স্ত্রীর হত্যার দায়ে স্বামীর ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ যাবজ্জীবন এবং নিহতের ভাসুরের ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় ৪জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: