পিতার ঠিকানায় নয়, নানার ঠিকানায় ভোটার আরাভ খান

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩, ১১:২৭ পিএম

পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি আলোচিত দুবাইয়ের আরাভ খান জাতীয় ওরফে রবিউলের পিতা মতিউর রহমানের বর্তমান ঠিকানা গোপালগঞ্জের হলেও ছেলে রবিউল ভোটার হয়েছিলেন বাগেরহাটের নানাবাড়ির গ্রামের ঠিকানায়।খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া ইউয়িনের আড়ুয়াডিহিতে রেজ্জাক শেখের মেয়ে লাখি হচ্ছে আরাভের মা।

জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রবিউলের জন্ম ১৯৮৭ সালের ১৯ অগাস্ট। শিক্ষাগতযোগ্যতা মাধ্যমিক, বিয়ে করেছেন রুমা নামের এক নারীকে। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী বর্তমানে তার বয়স ৩৫ বছর ৭ মাস হলেও পাসপোর্ট অনুযায়ী আরাভের জন্ম ১৯৯৩ সালে, সে অনুযায়ী বয়স ৩০ বছর। কোদালিয়া ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, ওর (আরাভ রবিউল) বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। আমিও আজ সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি রবিউল নাকি এখানে ছিল, ভোটারও হয়েছে। এখানে ওদের নানার বাড়ি, তার মামার কথাও শুনেছি।

মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, রবিউল গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার আশুতিয়া গ্রামের মতিউর রহমান মোল্লা এবং লাকি বেগমের ছেলে। ওই গ্রামটি উপজেলার হিরন ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। ঢাকার পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি পলাতক রবিউল ইসলাম, যিনি এখন আরাভ খান নামে দুবাইতে বসবাস করছেন । তাকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়ার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পুলিশ ইন্সপেক্টর মামুন খুনের আসামি হওয়ার পর এই সোহাগ ঢাকায় রবিউল, আপন, হৃদয় ইত্যাদি নানা নাম ধারণ করে।

হিরন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল আলম পান্না বলেন, ওকে (রবিউল) আমরা ছোটবেলা থেকে সোহাগ নামে চিনি। ওরা হল মোল্লা বংশ। ওর মা নাম রাখছে সোহাগ মোল্লা। ওর মামার বাড়ি বাগেরহাটে। সোহাগ জন্মের পর থেকে বেশিরভাগ সময় সেখানেই ছিল। লেখাপড়া বেশিদূর করেনি। মাঝে মধ্যে গ্রামে আসত… একটু বড় হওয়ার পর ঢাকার দিকে যায়। সোহাগ ওরফে রবিউল ‘১৫-২০টার মত’ বিয়ে করেছে– এমন তথ্য দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জানান, তিনি জেলা পরিষদের সদস্য থাকার সময় সোহাগের ৬-৭টা বিয়ের সালিশ-মীমাংসা করেন।

তিনি আরো জানান, পরে আরাভ নামের একটি ফেইসবুক আইডি খুলে রবিউল থেকে আরাভ হয়ে যান তাদের পরিচিত সোহাগ মোল্লা। পুলিশ জানায়, পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যাসহ ১২টির মতো মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা রবিউল ইসলাম দুবাইয়ে গিয়ে আরাভ খান নাম নিয়েছেন।
ফেইসবুক লাইভে এস আরাভ দাবি করেছেন, কষ্ট করে দারিদ্র্য জয় করেছেন।তার বাবা দিনমজুর ছিলেন। তিনিও ঢাকায় এসে হোটেলে কাজ করেছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: