বরগুনায় ভারী বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত, আতঙ্কে রয়েছে তরমুজ চাষিরা

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৩, ১০:৩৬ পিএম

হঠাৎ করেই বরগুনা সহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলা- উপজেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। গত কাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও আকজকে দুপুর থেকে বৃষ্টি অঝোরে চলছে। এর ধারাবাহিকতায় গতকালও সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে নিম্নচাপের প্রভাবে চলমান এই বৃষ্টি থাকতে পারে আরো কয়েকদিন।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, অফিসের মেঘ মানচিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ভৈরি আবহাওয়া কারনে উপকূলীয় বিভিন্ন অঞ্চলে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাত আর ঝড়ো বাতাসের প্রভাব থাকতে পারে। তবে অতি তাড়াতাড়ি আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে, টানা বৃষ্টিতে বরগুনার সকল শ্রেনী পেশাজীবি মানুষ জরুরী কাজ বা ব্যক্তিগত কাজে এক স্থান থেকে অন্যত্র চলাচলকারীরা ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সবজি বিক্রেতা বা এমন ছোট ছোট দোকানি যারা বাধ্য হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দিতে হয়েছে। কিছু কিছু খুললেও বৃষ্টির দাপটে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি তারা।

গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্যক্তিগত গাড়ি, অটো, মাহিন্দ্র, কিংবা রিক্সার মতো পরিবহন ব্যবহার করছেন অনেকে। সুযোগ বুঝে ভাড়া বাড়িয়েছেন রিক্সা,ভিবাটেক ও অটো চালকেরা।

সদর ইউনিয়নের করিম উদ্দিন বলেন, সবার দেহা দেহি দার উদ্ধার কইররা পাঁচ করা জায়গায় তরমুজ লাগাইছেলাম। গাছে ফলন ভালোই পড়ছে। তবে বৃষ্টির লইগ্যা একসের টেনশনে আছি যদি নষ্ট হইয়া যায়, তাইলে মোর সবশেষ হইয়া যাইবে!

এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নের নাসির, জালাল গাজী, রাইহান, মিঠুন চক্রবর্তী সহ অনেক তরমুজ চাষীরা জানান, বৃষ্টি হওয়ার দুদিন আগেই আমরা তরমুজ খেতে পানি দিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি হয় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে আমাদের। কারণ অতিরিক্ত পানি জমা হয়ে আছে তরমুজ খেতে। এতে গাছ ও তরমুজ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বিভিন্ন মাধ্যমে সেচ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছি!

সদরের নোমান খান বলেন, বৃষ্টির দিনে বেশ কষ্ট হয়েছে পথে বের হতে। অনেকটা নিরুপায় হয়ে বৃষ্টিতে ভিজে কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: