সিদ্ধান্ত ছাড়াই ফিরে গেলেন মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৩, ০৬:১৮ পিএম

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে কোন প্রকার সিদ্ধান্ত ছাড়াই ফিরে গেলেন মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল। বুধবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজারের টেকনাফের জালিয়াপাড়া জেটি ঘাট হয়ে মিয়ানমারে ফিরে যান। তবে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের সাথে কোন কথা বলতে রাজী নন কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা।

তবে একটি সূত্র বলছেন, কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ওখানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে একটি সভা হওয়ার কথা রয়েছে। মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি ৭ দিন টেকনাফ অবস্থান করে ফিরে গেলেও প্রত্যাবাসন নিয়ে কার্যত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। মন্ত্রণালয়ের সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭ টায় কক্সবাজারস্থ অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা জানিয়েছিলেন, মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি ৭ দিনে সাড়ে ৪ শত রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই করেছেন এই প্রতিনিধি দলটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গেলো ৭ দিনে ১৪৯ পরিবারের ৪৪৯ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই-বাছাই করেছে মিয়ানমার প্রতিনিধি দল। এর মধ্যে গত বুধবার (১৫ মার্চ) ৪ পরিবারের ২৭ জন, বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ২৩ পরিবারের ৭৮ জন, শুক্রবার (১৭ মার্চ) ২৮ পরিবারের ৭৪ জন, শনিবার (১৮ মার্চ) ২৬ পরিবারের ৬৯ জন, রোববার (১৯ মার্চ) ২৬ পরিবারের ৭৫ জন, সোমবার (২০ মার্চ) ২৬ পরিবারের ৮৬ জন ও মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ১৬ পরিবারের ৪০ জন রোহিঙ্গার সাথে আলাপ করে প্রতিনিধি দলটি। টেকনাফ স্থলবন্দরের মালঞ্চ সম্মেলন কক্ষে চলে রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই ও সাক্ষাৎকার গ্রহণের কাজটি।

প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ থেকে পাঠানো তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই করতে ১৫ মার্চ বুধবার কক্সবাজারের টেকনাফ হয়ে বাংলাদেশে এসেছে মিয়ানমারের ২২ সদস্যদের প্রতিনিধি দল। দেশটির মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্সের মংডুর আঞ্চলিক পরিচালক অং মাইউ এর নেতৃত্বে আসা সদস্যদের ৫ জন প্রাথমিক আলোচনা শেষে মিয়ানমার ফেরত গেলেও টেকনাফে ছিলেন ১৭ সদস্য। এরা বুধবার মিয়ানমারে ফিরে গেলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়া টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্প ও ভাসানচরে আশ্রিত আছেন।

এদিকে, এ পরিস্থিতিতে সোমবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের টেকসই প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ইউএনএইচসিআরের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। সম্ভাব্য প্রত্যাবাসন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় পাইলট প্রকল্পে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের একটি গ্রুপের সঙ্গে দেখা করতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশে সফর সম্পর্কে অবগত রয়েছে তারা। তবে ইউএনএইচসিআর এসব আলোচনায় জড়িত নয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: