‘ওসি সেলিমকে আমি এখনও অনেক ভালোবাসি’

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৬:৪১ পিএম

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক সফল নারী উদ্দ্যোক্তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জজেলার ভোলাহাট থানার সাময়িক বহিস্কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ওই নারী জেলার নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন ওই ভুক্তভোগী নারী।

ভুক্তভোগী নারী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভোলাহাট থানার সাময়িক বহিস্কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা চৌধুরী এর আগে ২০২০ সালে আমার এলাকার নাচোল থানায় ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাই বেশ কয়েকটি মামলার কাজে তার কাছে যাওয়া আসা করতাম। এক পর্যায়ে আমাদের একটি ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিছুদিন পরে আমরা দু’জন দু’জনের প্রেমে পড়ে যায়। এর ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নাখরাজ পাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে তাঁর সাথে আমার একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়।

এছাড়াও নাচোল থানায় কর্মরত থাকাকালীন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের আমবাগানে আমার সাথে প্রেমের আলাপ করতেন ওসি সেলিম রেজা চৌধুরী। তবে তখনো আমি জানতাম না সেলিম রেজা চৌধুরীর বউ আছে। আমাকে তিনি বলতেন তার বউয়ের সাথে তাঁর নাকী ডিভোর্স হয়ে গেছে। এ কারণেই মূলত তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক বাধে। সে আমার সাথে এমন প্রতারণা করবেন তা আগে আমি বুঝতে পারিনি।

সবকিছু আমাদের ভালোই চলছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে আমাদের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি ওসির বউ জানতে পারে। তখন থেকে সেলিম রেজা আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তবুও আমি তাকে ভুলে থাকতে পারিনি। মন থেকে মুছে ফেলতে পারিনি। তাকে এখনো আমি অনেক ভালোবাসি। তাই আমি তাকে বিয়ে করতে চাই।

এজন্য ২২ ফেব্রুয়ারি বিয়ের দাবিতে আমি ভোলাহাট থানায় অনশনে বসি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওসি সেলিম রেজা, কনস্টেবল ও তার গাড়ীর ড্রাইভার (গাড়ী চালক) দিয়ে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করেন। পরে সেদিন রাতেই আমি বাসাই চলে আসি। ফের পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোলাহাট থানায় গেলে আমাকে ফের মারধর করা হয়। এ মারধরের ভিডিও আমার কাছে আছে। কিন্তু তারপরও আমি থানা থেকে বের হচ্ছিলাম না।

এক পর্যায়ে সেদিন রাতেই আমাকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন ওসি সেলিম রেজা চৌধুরী। আমি ৭দিন হাজত খেটে এসেছি। আর আমার উপরে হওয়া এমন নির্মম নির্যাতনের আমি
সুষ্টু বিচার চাই।

এ বিষয়য়ে ভোলাহাট থানার বহিষ্কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা চৌধুরিকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তাঁর মন্তব্য পাওযা যায়নি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম সাহিদ বলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ওই নারীকে নিয়ে থানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সেই ভিডিও আমাদের কাছে ১৭ মার্চ আসে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ১৮ মার্চ তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। এখনো তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: