বিএনপিকে সংলাপে বসার আমন্ত্রণ ইসির 

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৮:১৮ পিএম

নির্বাচন কমিশনার (কাজী) হাবিবুল আউয়াল ডি ও পত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনপি) কে আলোচনা ও মতবিনিমায়ের জন্য সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তিনি এ চিঠি পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, “শুভেচ্ছা নিবেন। আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন প্রধান নির্বাচন কশিনার হিসেবে আমি বিগত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আমার সহকর্মী মাননীয় নির্বাচন কমিশনারবৃন্দও একই তারিখে দায়িত্ব নিয়েছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমরা স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের সময়োচিত হওয়া নির্বাচনসমূহ ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠান করে আসছি। জাতীয় সংসদের দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচন আগামি ডিসেম্বর কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব অনুধাবন করে এবিষয়ে সদিচ্ছা ব্যক্ত করে আসছে।

আমরা সম্যক অবগত আছি যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল প্রথম থেকেই বর্তমান নির্বাচন কমিশনের উপর অনাস্থা ব্যক্ত করে এই কমিশনকে প্রত্যাখান করে এসেছে। আপনারা নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যতীত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তও বারংবার ব্যক্ত করেছেন। আপনাদের নিজস্ব দলীয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও কৌশল বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনোরূপ মন্তব্য নেই।

তবে, নির্বাচন কমিশন আপনাদের দ্বারা প্রত্যাখাত হলেও মনে করে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দলের নেতৃবৃন্দের সাথে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক না হলেও, অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ও মতবিনিময় হতে পারে। অধিকন্তু স্মর্তব্য যে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দল। বর্ণিত কারণাধিনে আমি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আপনাকে আপনার দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ প্রয়োজনে সমমনা দলসমূহের নেতৃবৃন্দসহ নির্বাচন কমিশনে সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সময় সম্মত হলে, দিন-ক্ষণ আলোচনা করে নির্ধারণ করা যেতে পারে। প্রত্যুত্তর প্রত্যাশা করছি।”

জৈষ্ঠ্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান লিখিত বক্তব্য বলেন,বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনপি) মহাসচিব জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তাঁদের দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সহ, প্রয়োজনে সমমনা দলসমূহের নেতৃবৃন্দ সহ বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান ইলেকশন কমিশনার ডি ও পত্রের মাধ্যমে আলোচনা ও মতবিনিমায়ের জন্য সাদর আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (কাজী) হাবিবুল আউয়াল। এর আগে আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদ সুলতানা বলেন,সংলাপ কাজের সুবিধা জন্য হয়। এটা করার জন্য আইনে কিছু বলা নেই। এইটুকু বলতে পারি প্রয়োজন হলে নিশ্চয় আমরা বসবো।

এর আগে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যাচাই-বাছাইয়ের জন্য দলগুলোকে তিন ধাপে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দুই ধাপে ২৬টি দলকে আমন্ত্রণ জানালেও ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছে ১৮টি দল। বিএনপিসহ আটটি দল ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি।

সাড়া না দেয়ার কারণ হিসেবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিডি২৪লাইভকে বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, আমরা আমন্ত্রণে যাইনি। ইভিএম আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের একটা দাবি নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার। আমরা আগেও বলেছি, এই নির্বাচন কমিশনের উপর আপনাদের কোনো আস্থা নেই,ইভিএমেও আামদের কোনো আস্থা নেই, জনগণেরও কোনো আস্থা নেই।

গত বছর নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করেছে। গত বছরের ১৭ জুলাই থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছিলো ইসি। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২০ জুলাই বিএনপি সঙ্গে সংলাপে বসার কথা থাকলেও তাতে সাড়া দেয়নি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: