মৌলভীবাজারে ১৩ শকুন হত্যা: থানায় মামলা

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৭:৩০ পিএম

মৌলভীবাজারের একাটুনা ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামে বিষপ্রয়োগে ১৩ টি বিপন্ন প্রজাতির শকুনের মৃত্যু হয়েছে। এর সাথে মারা গেছে বেশ কয়েকটি শিয়াল, কুকুর ও বিড়াল। এ ঘটনায় শুক্রবার (২৪ মার্চ) বন বিভাগের পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, শকুন হত্যার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সরেজমিনে দেখা যায়, ধান ক্ষেত্রের জমির মধ্যে পড়ে আছে তিনটি মৃত প‍ঁচে যাওয়া শকুন। এর আশপাশে পড়ে আছে মৃত কয়েকটি শিয়াল, কুকুর ও বিড়াল। ঘটনাস্থলেই পড়ে আছে তিনটি ফেনথোয়েট উপাদান যুক্ত সেমকাপ নামের কিটনাশকের বোতল। যেগুলো গত কয়েকদিন ধরে জমিতে পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে শকুনের মৃত্যু নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ টিম মাঠে কাজ করছে। কী কারণে এক সঙ্গে এতো শকুনের মৃত্যু হয়েছে সেটি বের করার কাজ চলছে।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র জানান, ঘটনাস্থলের আশপাশে বিগত কয়েক বছর ধরে শকুনের আনাগোনা ছিল। তিনি আরও জানান, সারাদেশে ২৬০টি শকুন রয়েছে। রেমা-কালেঙ্গা ও আশপাশ এলাকায় রয়েছে ৬০-৮০টি শকুন। এর বড় একটি অংশ মারা গেল। এটা খুব দুঃখজনক।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, শকুন মরার ঘটনা নিয়ে শুক্রবার মৌলভীবাজার সদর থানায় দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে বন বিভাগের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। এক সঙ্গে অনেক শকুনের মৃত্যু নিয়ে বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করে যাচ্ছেন। সঠিক তথ্য খোঁজে বের করার জন্য তারা কয়েকদিন যাবত মাঠে কাজ করছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: