একই বছর দুই রমজান, রাখতে হবে ৩৬ রোজা!

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩, ০২:৩৭ পিএম

রমজান হিজরি সনের বিশেষ ও মহিমান্বিত একটি মাস। এ মাসে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান রোজা পালন করা হয়। পুরো বিশ্বের মুসলমানরা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রোজা রাখেন। তবে চান্দ্রবর্ষপঞ্জিতে প্রতিবছর ১০ থেকে ১২ দিন কম হওয়ায় রোজার সময়সীমায় পরিবর্তন হয়। আর প্রতি ৩০ বছরের মধ্যে গ্রীষ্ম ও শীত মৌসুমের মধ্যে রমজান মাস ঘূর্ণায়মান থাকে। মূলত অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ এবং নিরক্ষরেখা থেকে দেশের অবস্থান অনুসারে রোজার সময়সীমায় এ তারতম্য হয়।

প্রতি বছর আমরা সাধারণত ২৯ কিংবা ৩০টি রোজা রাখি। তবে ২০৩০ সালে রাখতে হবে ৩৬টি রোজা। কিন্তু কেন! ২০৩১ সাল পর্যন্ত উত্তর গোলার্ধের সময় কমতে থাকবে। সেই বছর ১৪ ডিসেম্বর শীত মৌসুমে রোজা অনুষ্ঠিত হবে। আর ২০৩০ সালে এক বছরে দুই রমজান অনুষ্ঠিত হবে। সেই বছর ৫ জানুয়ারি রমজান শুরু হবে। আবার একই বছর ২৫ ডিসেম্বর আবার রমজান মাস শুরু হবে। তার মানে ওই বছর ৩৫ বা ৩৬ দিন রোজা রাখতে হবে। ২০৬৩ সালেও একই বছরে দুই রমজান হবে। অতীতে ১৯৯৭ সালে এবং ১৯৬৫ সালেও এমনটি হয়েছে।

মূলত হিজরি বর্ষ চান্দ্রবর্ষপঞ্জিকা অনুসরণ করে। তাই চন্দ্রের হিসাবে বছরে ৩৫৪ থেকে ৩৫৫ দিন হয়। এদিকে সৌরবর্ষ হয় ৩৬৫ দিনের। এতে উভয়ের মধ্যে ১০ দিনের ব্যবধান হয়। ফলে প্রতি ৩০ বছর পর গ্রেগরিয়ান এক বছরে দুইবার রমজান পড়ে। বছর ঘুরে উত্তর গোলার্ধে রোজার সময় কমতে থাকে। এই স্থানে রোজার সময় ২০৩২ সাল পর্যন্ত ক্রমাগত কমতে থাকবে। ওই বছর রমজান মাস পুরোপুরি শীতের মধ্যে পড়বে।

আর তখনকার সময়টি হবে বছরের সংক্ষিপ্ততম সময়। এরপর পুনরায় রোজার সময় বাড়তে থাকবে এবং গ্রীষ্মের সময়ে এসে পড়বে। ওই সময়টি হবে বছরের দীর্ঘতম সময়। ২০২৮ সালে তীব্র শীতের সময় রমজানের রোজা রাখতে হবে। আবার ২০৪৪ সালে প্রচণ্ড গরমের মৌসুমে রমজান হবে। সূত্রঃ গালফ নিউজ, আরব নিউজ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: