কুবিতে ছাত্রলীগের সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৩:১০ পিএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সিনিয়র কর্তৃক জুনিয়রকে মারধরের ঘটনায় সিনিয়রকে হল ছেড়ে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৫ মার্চ) মধ্যরাতে হলের প্রাধ্যক্ষ মোকাদ্দেস-উল ইসলাম ও সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত প্রাথমিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মীরহাম রেজা শুক্রবারে ক্যান্টিন বয়কে হলের অভ্যন্তরে উচ্চস্বরে ডাকায় আইন অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নেওয়াজ শরিফ ফাহিম তাকে বকাঝকা করেন। পরবর্তীতে তাদের দুজনের মধ্যে বাগবিত হলে মীরহামের বিভাগের (প্রত্নতত্ত্ব) সিনিয়র ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদতার জুনিয়রকে কেন ধমক দেয়া হয়েছে তা জানতে চান। যা নিয়ে দুই দফা ফাহিমের সাথে সেলিমের বাকবিতন্ডা হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে ফাহিম হলগেইটে প্রথমে সেলিমকে মারধর করেন পরবর্তীতে সেলিমও ফাহিমের গায়ে হাত তোলেন।

এ বিষয়ে মীরহাম রেজা বলেন, ক্যান্টিনে কিছু টাকা বাকি থাকায় ক্যান্টিন বয়কে ডাকতেছিলাম। তখন উনি (ফাহিম) আমাকে বলেন, 'তুই আমারে চিনস? তুই এমনে কথা বলস কেনো? আর একটা কথা বললে তোর হাত পা কেটে ফেলবো।'

মীরহামের বিভাগের সিনিয়র সেলিম আহমেদ বলেন, বিভাগের জুনিয়রকে ধমকানো হয়েছে জানতে পেরে আমি তার (ফাহিম) কাছে বিষয়টি কি হয়েছে জানতে চাই। কিন্তু উনি আমাকে কথাবার্তার এক পর্যায়ে পাঞ্জাবি ধরে হলগেইটে মারধর করেন।

এ বিষয়ে মারধরকারী সিনিয়র শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, হলের সিনিয়র হওয়ায় আমি তাকে (মীরহাম) সতর্ক করার জন্য প্রাধ্যক্ষ রুমের সামনে উচ্চস্বরে কথা না বলতে নিষেধ করি। কিন্তু সে আমার সাথে উদ্ধতপূর্ণ আচরণ করার পাশাপাশি তার বন্ধুদের নিয়ে আসে আমাকে মারার জন্য।

সার্বিক বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, আমরা প্রাথমিক সিদ্ধান্তনুযায়ী ফাহিমকে (প্রথমে মারধরকারী) এ মাসের মধ্যে হল ছেড়ে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। পরবর্তীতে হলবডির সবাইকে নিয়ে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবো।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: