ফসলরক্ষা বাঁধ কেটে মাছ শিকার, চারশত একর জমির ধান হুমকির মুখে

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১:৫০ পিএম

মাছ শিকার করতে গনিয়া কুড়ি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ কেটে দিয়েছে চিহ্নিত মাছ শিকারীরা। তবে গ্রামবাসী তাৎক্ষণিক ভেঙ্গে দেয়া বাঁধ মেরামত করায় রক্ষা পেয়েছে চারটি গ্রামের চারশত একর ধান। তবে এখনও এই বাঁধ দিয়ে হাওরে পানি প্রবেশ করায় হুমকির মুখে পড়েছে। এছাড়াও এই বাঁধ ভাঙ্গলে সন্ন্যাসী,এরালাকোনা দুটি হাওরের ফসলী জমি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে কৃষিজীবি লোকজন দুশ্চিন্তায় পরে যায়।

এনিয়ে মাছ শিকারী (জেলে) ও কৃষকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের মন্দিয়াতা গ্রামের পাশে গনিয়াকুড়ি হাওরের বাঁধ গত মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে কেটে দেয় মাছ শিকারীরা।

এ বিষয়ে মাছ শিকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও বাঁধ মেরামত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের কৃষক মোঃ জায়েদ মিয়া।

লিখিত আবেদন থেকে জানা যায়, মাছ ধরার জন্য গত মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের গনিয়াকুড়ি হাওরের পাশে মান্দিয়াতা গ্রামের আব্দুল ছত্তার, আব্দুল কাদির, আলী আমজদ, আব্দুল জব্বার, সজিব মিয়া, রাজীব মিয়া, বোরহান, দিলোয়ার, আলম, আলী জান, তুযেল মিয়া দলবদ্ধ হয়ে মাছ ধরার জন্য গনিয়াকুড়ি হাওরের বাঁধ কেটে ফেলে। এতে করে হাওরে পানি প্রবেশ করতে দেখে হাওর পাড়ের সাধারণ কৃষকরা তাদের কাছে গেলে গালি-গালাজসহ মারধর করতে থাকে। এই বাঁধ মেরামত ও বাঁধ কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করায় জন্য ইউএনও হস্তক্ষেপ কামনা করে লিখিত আবেদন করা হয়।

বাঁধ কাটার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আলী আমজাদ জানান, বাঁধ কাটার সাথে আমি জড়িত না। আমি কিছুই জানিনা। গনিয়াকুড়ি বিল সাত্তার সহ সাত আটজন ইজারা নিয়েছে। বাঁধ কাটা হলেও আবার মেরামত করা হয়েছে।

বাঁধ কাটার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে গনিয়াকুড়ি বিলের ইজারাদার আব্দুছ ছাত্তার জানান, গনিয়াকুড়ি বিলে ইজারা নিয়েছি। কিন্তু বাঁধটি আমরা কাটি নি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানির চাপে ভেঙে গেছে। আমি নিজের টাকা খরচ করেই বাঁধ মেরামত করেছি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাজিনুর মিয়া জানান, গনিয়াকুড়ি হাওরে কষ্টে ফলানো চারশত কৃষকের ফসল রক্ষায় কৃষকরা নিজেদের অর্থ্যায়নে বাঁধ দেয়। সেই বাঁধ মাছ ধরার জন্য কাটায় এক মাত্র বোরো ধান হুমকির মুখে পড়েছে। যারা বাঁধ কেটেছে তাদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। বাঁধ মেরামত করাও খুবেই প্রয়োজন। না হলে এখন বৃষ্টি হচ্ছে পাহাড়ি ঢল আসবে এই বাঁধ রক্ষা করা যাবে না।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুপ্রভাত চাকমা বলেন, হাওরে বাঁধ কেটে মাছ ধরার বিষয়ে লিখত অভিযোগ পেয়েছি৷ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে৷

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: