পিতা-পুত্রকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেফতার ৪

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫৯ এএম

ফরিদপুরের মধুখালিতে পিতা ও পুত্রকে একটি শ্রেণি কক্ষে দরজা বন্ধ করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ৪ জন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুকে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ এনে এক কিশোর (১৫) ও তার বাবাকে নির্যাতনের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ১৭ মার্চ (শুক্রবার) একটি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এ নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এ নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের প্রধান অভিযুক্ত মো. কুতুবউদ্দিন (২৫) নামে এক যুবককে গত ১৯ মার্চ রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর আরও চারজনকে আটক করা হয়।

এ বিষয়ে সোমবার (২৭ মার্চ) ফরিদপুর পুলিশ সুপার মো. শাজাহান সাংবাদিকদের জানান, ওই বাবা ও তার ছেলেকে বোনের সাথে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। এরপর সেই অপবাদ দিয়ে বাবা ও ছেলেকে একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। যা পরে ভাইরাল হয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। কিশোর ও তার বাবাকে আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগে ২০ মার্চ মধুখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রধান অভিযুক্ত কুতুবউদ্দিন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় আরও চারজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনার সাথে আরও যারা জড়িত তাদের সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরের পরিবার উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের মাঝকান্দি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকে। তাদের গ্রামের বাড়ি মাগুরায়। ওই কিশোর ও তার বাবা পৃথক দুটি জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করেন। কিশোরের মা প্রবাসে রয়েছেন। যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠা শিশুটি তার সৎ বোন।

স্থানীয়রা জানায়, ওই কিশোরের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া সৎ বোনকে যৌন নির্যাতন করে আসছে বাবা-ছেলে মিলে, এমন মিথ্যা অভিযোগের সূত্র ধরেই তাদের স্থানীয় একটি স্কুলের শ্রেণিকক্ষে আটকে কয়েকজন যুবক ও তরুণী মিলে মারধর করে। পরে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। নির্যাতনকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি তোলা হয়।

মূলত ওই স্কুলের নিঃসন্তান শিক্ষিকা ইসরাত জাহান লিপি শিশুটিকে অত্যধিক স্নেহ করেন। তার হেফাজতে রেখে লালন-পালনের জন্য শিশুটির বাবার কাছে প্রস্তাব দেন। বাবা প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিনি কৌশলে এমন কাণ্ড ঘটান বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: