মামলায় ওষুধ পাচারের কথা স্বীকার করলেন কারাগারের ফার্মাসিষ্ট

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৩, ১১:৩৫ পিএম

লালমনিরহাট সদর থানায় দায়েরকৃত মামলায় সরকারি ওষুধ পাচার করে বাইরে বিক্রির দায় স্বীকার করেছেন জেলা কারাগারের এ্যাসিস্ট্যান্ট ফার্মাসিষ্ট (এপি) ডিপ্লোমা নার্স বদিউজ্জামান (৫৩)। পুলিশ পরিচয়ে জোরপুর্বক টাকা আদায় ও ওষুধ ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তিনি সোমবার রাতে খানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম। তবে এ মামলার ব্যাপারে কিছুই জানেন না কারাগারের জেলার শফিকুল আলম ও সুপার ওমর ফারুক।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার বানিয়াদীঘি গ্রামের মৃত সুবাস চন্দ্র রায়ের ছেলে গৌতম চন্দ্র রায় (২৮) ও শহরের স্টেডিয়ামপাড়া এলাকার সোলেমান আলীর ছেলে ও পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক সৈকত ইমরান (২৫)।

এজাহারে বদিউজ্জামান বলেছেন, গৌতম চন্দ্র রায় একজন মোটরসাইকেল ম্যাকানিক্স। শহরের এয়ারপোর্ট সড়কে গ্যারেজ রয়েছে। তিনি কারাগার থেকে সরকারি ওষুধ পাচার করে গৌতমের মাধ্যমে বাইরে বিক্রি করতেন। গত ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় ওষুধ কেনার জন্য ৫জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার জেলখানা রোডে ভাড়াটে বাসায় আসেন। সেখানে গৌতমও উপস্থিত ছিলেন। ওষুধ দেখার সময় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয় এবং তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে চক্রটি নগদ ২৮ হাজার টাকা গ্রহন করে এবং এক লাখ টাকার একটি চেক লিখে নেয়। তারা চলে যাওয়ার সময় ওষুধগুলো নিয়ে যায়। গেল কয়েকদিন ধরে চক্রটি এক লাখ টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলো।

মঙ্গলবার দুপুরে কারাগারের এ্যাসিস্ট্যান্ট ফার্মাসিষ্ট বদিউজ্জামান বলেন,’ আমি লোভে পড়ে কারাগার থেকে সরকারি ওষুধ পাচার করে বাইরে বিক্রি করতাম। গৌতমের মাধ্যমে এই চক্রটি আমাকে ব্ল্যাকমেইল করেছে আমি মামলা করেছি। বদিউজ্জামান কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার পুরানগাঁও গ্রামের মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে। দুই বছর আগে তিনি লালমনিরহাট জেলা কারাগারে বদলি হয়ে এসেছেন।

লালমনিরহাট জেলা কারাগারের জেলার শফিকুল আলম মঙ্গলবার দুপুরে জানান, তিনি মামলার বিষয়ে কোনকিছুই জানেন না। তবে বদিউজ্জামানের বিরুদ্ধে কারাগার থেকে সরকারি ওষুধ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

জেলা কারাগারের সুপার ওমর ফারুক মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, তিনিও মামলার ব্যাপারে অবগত নন। বদিউজ্জামান মামলায় ওষুধ পাচারের বিষয়ে স্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরো চার সন্দেভাজনকে গ্রেফতার করতে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে। বদিউজ্জামানের কাছ থেকে নেওয়া ব্যাংকের চেকটি উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আর কারাগার থেকে সরকারি ওষুধ পাচার করে বাইরে বিক্রি করার বিষযটি কারাগার কর্তৃপক্ষ দেখবেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: