‘আমার ছেলের মুখটা দেখতে চাই’

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৩, ০২:০১ পিএম

সৌদি আরবে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই সংবাদ পাওয়ার পর থেকে ওই যুবকের বাবা-মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ আর কান্না থামছে না। বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে ওই ইউনিয়নের বাবুরহাট এলাকার রাঢ়ী বাড়িতে এ দৃশ্য দেখা যায়।

এর আগে সোমবার (২৭ মার্চ) জেদ্দা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পথে তাদের বহনকারী বাসটি গভীর খাদে পড়ে যায়।  এ সময় বাসে ওই যুবক ছিলেন।নিহত ব্যক্তি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের বাবুরহাট এলাকার রাঢ়ী বাড়ির মাছ ব্যবসায়ী মো. হারুনের বড় ছেলে সবুজ হোসাইন। তারা চার ভাইবোন। এরমধ্যে সবুজ পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত সবুজের বাবা হারুন মাছ বিক্রি করে সংসার চালায়। আর্থিকভাবে তেমন একটা সচ্ছল নয়। প্রায় তিন বছর আগে বড় ছেলে সবুজকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। তার পাঠানো টাকাতেই পরিবার সচ্ছলতার মুখ দেখেছে। এর আগে সে ওমরাহ করবে বলেছিল।

কিন্তু ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে সোমবার (২৭ মার্চ) বাস দুর্ঘটনায় সবুজ আহত হয়। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সৌদি থেকে খবর আসে, সবুজ মারা গেছেন। নিহত সবুজের বাবা হারুন জানান, আমার ছেলের মুখটা দেখতে চাই। মরদেহ আনতে সরকারের সহযোগিতা চাচ্ছি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: