সৌদিতে দুর্ঘটনায় নিহত লক্ষ্মীপুরের সবুজের বাড়িতে শোকের মাতম

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৩, ০১:২৩ পিএম

পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে সবুজ প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছে তিন বছর হলো। এখনো ঋণের পুরো টাকাই পরিষদ করা হয়নি। মৎস্য ব্যবসায়ী বাবার স্বপ্ন ছিলো দায় দেনা মিটিয়ে দেশে আসলে মহা ধুমধামে ছেলেকে বিয়ে দিবে। পাত্রিও পছন্দ করে রেখেছে পরিবার। তবে সে স্বপ্ন আর পুর্ণতা পেলো না কারন সবুজ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। সৌদি আরবে মক্কায় ওমরা করতে যাওয়ার পথে বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয় সবুজ হোসাইন। ৩ বছর পূর্বে জীবিকার তাগিদে সৌদি পৌঁছে একবার ওমরা করেছিলো সবুজ।

সে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার ৩নং চরমোহনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড, দক্ষিণ রায়পুর গ্রামের ঢালি বাড়ির মৎস্য ব্যবসায়ী হারুন ঢালির ছেলে। ৪ ভাই বোনের মধ্যে সবুজ দ্বিতীয়। গেলো সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় সৌদি আরবের আসির প্রদেশের আবহা এলাকায় মাহায়েল রোডের একটি ব্রিজের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সবুজ ওমরা হজ পালনে উদ্দেশ্যে মক্কা যাচ্ছিলেন।

মঙ্গলবার সবুজের মৃত্যুর খবর পাওয়ার থেকে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সবুজ প্রায় ৩ বছর ধরে সৌদি আরবের আবহা ডিস্ট্রিক্টে একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন।

আর অল্প কিছুদিন পরে দায় দেনা শোধ করে দেশে আসার কথা। সেই সুবাদে রোজায় ওমরাহ হজ্ব করার জন্য মক্কার উদ্দেশে একটি যাত্রীবাহী বাসে উঠেছিলেন। বাসটি দেশটির আসিম প্রদেশে পৌঁছলে সেতুর সঙ্গে সংঘর্ষে সড়ক থেকে ছিটকে খাদে পড়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় সবুজসহ ৮ বাংলাদেশিসহ ২০ ওমরাহ যাত্রী মারা গেছেন। এছাড়া ঐ ঘটনায় ২৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে জানা যায়।

সবুজের নিহতের খবর বাড়ি পৌঁছা মাত্রই শুরু হয়েছে শোকের মাতম। এই প্রতিবেদনে লেখা পর্যন্ত নিহতদের লাশ সৌদির আল বাহা ডিস্ট্রিক্টের এক হাসপাতালের হিমঘরে রয়েছে বলে পরিবারে পক্ষ থেকে জানিয়েছে।

সবুজের বাবা হারুন জানান, লাশ দেশে নিয়ে আসার বিষয়ে সে দেশে থাকা বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। দূতাবাসের সহায়তা ও পরামর্শক্রমে লাশ দেশে আনা হবে নাকি সে দেশে দাফন করা হবে এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার মৃত্যুতে বাড়ি ও ইউনিয়নজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহত সবুজের মা বলেন, ‘দ্রুততম সময়ে সরকারি খরচে যেন আমার ছেলের লাশটি গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়—এই দাবি জানাই।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: