কুষ্টিয়ায় চাঁদার টাকা না পেয়ে সন্ত্রাসীদের হামলা, অগ্নিসংযোগ

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৫:৩০ পিএম

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মাদাপুর গ্রামে চাঁদার টাকা না পেয়ে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজচক্র ক্ষিপ্ত হয়ে সীমান্ত কনস্ট্রাকশনের এসকেভেটরে আগুন দিয়েছে বলে হেফাজত ও বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। সীমান্ত কনস্ট্রাকশনের একটি এসকেভেটরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় বুধবার (২৯ মার্চ) ছয় জনের নামে এবং অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করে সীমান্ত কনস্ট্রাকশনের ঠিকাদার ফিরোজ কায়সার দৌলতপুর থানায় মামলা করেছে।

স্থানীয়, ঠিকাদার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে হিসনা নদী খননে ঠিকাদারের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে হেফাজত নেতা আশিকুজ্জামান বিন আখের ওরফে সুমন ও বিএনপি নেতা আসাদ। চাঁদার টাকা প্রদানে ঠিকাদার ফিরোজ কায়সার অস্বীকৃতি জানালে সোমবার (২৮ মার্চ) বিকালে এসকেভেটরের ড্রাইভারকে বেধড়ক মারপিট করে এবং এসকেভেটরের চাবি কেড়ে নেয় হেফাজত নেতা আশিকুজ্জামান বিন আখের ওরফে সুমন ও বিএনপি নেতা আসাদসহ আরো ২০/২৫ জন। পরবর্তীতে দৌলতপুর থানায় বিষয়টি জানালে থানা পুলিশ চালককে উদ্ধার করে।

এরপর সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র অভিযুক্তকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ঐদিন দিবাগত রাত আনুমানিক আনুমানিক রাত তিনটার দিকে এসকেভেটরে আগুন দেয় তারা। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে স্থানীয়রা ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে আনুমানিক রাত পৌনে চারটার দিকে ফায়ার সার্ভিস ঘটনা স্থলে পৌঁছানোর আগেই এসকেভেটরের সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়ে যায়। এ ঘটনা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

এর আগে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেন্ডার কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক ও সদস্য সচিব পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কর্তৃক দৌলতপুর হিসনা নদী খনন টেন্ডারের সর্বোচ্চ দরদাতা ইজারা প্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তার নিকট উক্ত আসামীরা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। ঠিকাদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা বিভিন্ন ধরনের চক্রান্ত ও হুমকি ধামকি দিতে থাকে। বিষয়টি গণমাধ্যম পর্যন্ত পৌঁছালে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের উপর হামলা করে ও তাদের ক্যামেরা কেড়ে নেয়।

এছাড়াও প্রধান আসামি আশিকুজ্জামান এর ফেসবুক আইডি পর্যালোচনা করে দেখা যায় তিনি সরকার বিরোধী এবং প্রশাসনবিরোধী নানা ধরনের অপপ্রচার চালাতে থাকে। এছাড়াও প্রশাসনের বিপক্ষে ও জঙ্গি, মৌলবাদ ও হেফাজতের পক্ষে সরকার ও রাষ্ট্র বিরোধী উস্কানিমূলক ফেসবুক পোস্ট দিতে থাকে। তাছাড়াও নির্বিঘ্নে এলাকাতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করতে থাকে। এলাকায় তার নামে একাধিক রিপোর্ট রয়েছে বলে জানা যায়।

সীমান্ত কনস্ট্রাকশনের এজাদার ফিরোজ কায়সার বলেন, আমার কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে হেফাজত নেতা আশিকুজ্জামান বিন আখের ওরফে সুমন ও বিএনপি নেতা আসাদ। চাঁদার টাকা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে সোমবার (২৮ মার্চ) বিকালে এসকেভেটরের ড্রাইভারকে বেধড়ক মারপিট করে
এবং এসকেভেটরের চাবি কেড়ে নেয় হেফাজত নেতা আশিকুজ্জামান বিন আখের ওরফে সুমন ও বিএনপি নেতা আসাদসহ আরো ২০/২৫ জন। পরবর্তীতে দৌলতপুর থানায় বিষয়টি জানালে থানা পুলিশ চালককে উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে মুঠোফোন বন্ধ থাকায় আশিকুজ্জামান বিন আখের ওরফে সুমন ও বিএনপি নেতা আসাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার (ওসি) মজিবর রহমান বলেন, বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থানা একটি একটি অভিযোগ জমা দিয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: