পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের মৃত্যু, দাফন সম্পন্ন

পৌর যুবলী‌গের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কদ্দুস শিপলুর হাতে ছুরিকাঘাতে নিহত পৌর যুবলীগ নেতা লায়েক মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি সুনামগঞ্জের ছাতক পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের মন্ডলীভোগ এলাকার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। বুধবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় ছাতক উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে মরহুমের জানাযার নামায অনুষ্ঠিত হয়।

এরপূর্বে একেই দিনে বিকেলে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়েই ব‌্যাপক আলোচনা ও সমা‌লোচনার ঝড় উঠেছে। ঘটনাস্থ‌ল এলাকায় পু‌লিশি টহল জোরদার রেখেছে।

জানাযার নামাজে উপস্থিত ছিলেন, ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শামীম আহমেদ চৌধুরী, ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, সহকারী পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ খাঁন মোহাম্মাদ মাঈনুল জাকির, ছাতক সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, দোহালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামিমুল ইসলাম শামিম, ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুফি আলম সোহেল, ছাতক পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর রশিদ আহমদ খসরু, কাউন্সিলর ছালেক মিয়া,কাউন্সিলর হাজী নাজিমুল হক, কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম, কাউন্সিলর ইরাজ মিয়া,সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আজমল হোসেন সজলসহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জের ছাতকে গত মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ন'টার সময় থানা সংলগ্ন সুরমা নদীর গনেশপুর খেয়াঘাটের একটি চা স্টলে বসে চা পান করছিলেন উপজেলা যুবলীগ নেতা লায়েক মিয়া।

এসময় লায়েক মিয়াকে অতর্কিত এসে ছুরিকাঘাত করে ছাতক পৌর যুবলী‌গের সাধারন সম্পাদক ও প্রতিষ্টাতা সভাপ‌তি বঙ্গবন্ধু ছাত্র প‌রিষদ ছাতক উপ‌জেলার আবদুল কদ্দুস শিপলুসহ তার কয়েকজন সহযোগিরা। এঘটনা পরপর হত্যাকারীরা থানার সামনে দিয়ে দ্রুত সুরমা নদী পাড় হয়ে পালিয়ে যায়। এসময় উপস্থিত লোকজন খু‌নিদেরকে ধাওয়া করলেও আটক করতে পা‌রেনি।

আরও জানা যায়, ছাতক পৌরশহরের মন্ডলীভোগ এলাকার লাল মস‌জিদ ক‌মি‌টি নি‌য়ে লায়েক মিয়া ও একই গ্রামে তাজ উদ্দিনের ছেলে আবদুল কদ্দুছ শিপলুর পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল।

স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আহত লায়েক মিয়াকে উদ্ধার করে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা অবনতি দেখে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত পৌনে ১১টার দিকে ওই হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মন্ডলীভোগ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ খান মাঈনুল জাকির এঘটনার সত‌্যতা নি‌শ্চিত করে তিনি জানান, এ ঘটনায় পু‌লিশ হত্যার সাথে জড়িত এরশাদ, তাজউদ্দিনসহ তিনজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে সোপর্দ করেছে।

সহকারী পুলিশ সুপার রনজয় চন্দ্র মল্লিক জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে লায়েক মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে। এখন প‌রি‌স্থি‌তি শান্ত রয়েছে। যারা এই হত্যার ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনার সবোচ্ছ চেষ্টা করছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।