মহিলা মেম্বারকে বিয়ে করে দোয়া চাইলেন চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৬:০১ পিএম

বগুড়া সদরে নিশিন্দারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম (৫৩) একই ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার কল্পনা ইয়াসমিন (৩৪) প্রেমের টানে ঘর ছাড়ার পরে বিয়ে করেছেন। নিজেদের বিয়ের খবর নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে দোয়াও চেয়েছেন।

বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সরকার লিখেছেন, আমাদের বিবাহিত জীবন অত্যন্ত সুখে কাটছে। নিশিন্দারা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনারা দোয়া করবেন, আপনাদের সেবায় যেন বাকি জীবন উৎসর্গ করতে পারি। শুভেচ্ছান্তে মোঃ: সহিদুল ইসলাম সরকার ও মোছাঃ কল্পনা ইয়াসমিন।

এর আগে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম একই ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার কল্পনা ইয়াসমিন পরকীয়ার টানে পালিয়ে গেছে। এমন খবরে অত্র এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে,বগুড়া সদর নিশিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের সাথে নওদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী একই ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত (৭,৮,৯) নারী আসনের (সদস্য) মহিলা মেম্বার কল্পনা ইয়াসমিনের সাথে দীর্ঘ দিনের সখ্যতা গড়ে উঠে। সেই সুবাদে চেয়ারম্যান প্রতিনিয়ত মহিলা মেম্বারের বাড়িতে যাতায়াত করতো। এরপর গত ৫ই ফেব্রুয়ারী শহিদুল চেয়ারম্যান কল্পনা মেম্বারকে নিয়ে উধাও হন। সেখান থেকে তারা বিয়ে করে ফেলেন।

এদিকে কল্পনার স্বামী রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি বগুড়া বিসিএল প্রাইভেট কোম্পানিতে সুপারভিশন অফিসার পদে চাকরি করেন। ২৩ বছর পুর্বে কল্পনা ইয়াসমিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তার স্ত্রী কল্পনা ইয়াসমিন ৩ সন্তানের জননী। তাদের প্রথম সন্তান এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র, দ্বিতীয় সন্তান ৮ম শ্রেনী ও তৃতীয় সন্তান কেজিতে পড়ে।

রফিকুল বলেন, ‘এ বিষয়ে শহিদুল চেয়ারম্যানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কল্পনা ইয়াসমিনকে বিয়ে করেছি। অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে যেনো বাড়াবাড়ি না করা হয়।’

রফিকুল আরও জানান, তিন সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে লোক লজ্জার ভয়ে এতদিন নিরবে অপেক্ষা করেছি। নিজের ভুল বুঝে স্ত্রী যদি পুনরায় ফিরে আসে। তাহলে আমি ঘড়ে ফিরিয়ে নিবো। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য শহিদুল চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে বারবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেনি। এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী জানায়, এখনো কোন অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নিবো।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: