ঘোরেন সারাদেশ, করেন ডাকাতি

ট্রাক নিয়ে বিভিন্ন জেলার সড়ক-মহাসড়কে ঘুরে বেড়ান তারা। আর পথে যেখানেই সুযোগ পান সেখানেই করেন ডাকাতি। সমপ্রতি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের এমনই পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রাকসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।

অভিযুক্তরা হলেন- বাগেরহাটের ফকিরহাট থানার জাড়িয়া বারুইডাঙ্গা জিয়াউল হকের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৭), একই গ্রামের আমির আলী শেখের ছেলে বোরহান শেখ ওরফে বুরান (১৯), লখপুর গ্রামের মাহবুব শেখ ওরফে হাবিবুর রহমানের ছেলে আশরাফুল শেখ ওরফে আসাদুল ওরফে ছোট (২২), জাড়িয়া মাইটকুড়রা গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর শেখ শিমুল শেখ ওরফে হৃদয় (২৪) এবং খুলনার রূপসা থানার তালিমপুর গ্রামের হেলাল শেখের ছেলে বাগেরহাট পৌর এলাকার চালতাতলা মহল্লার বাসিন্দা কামাল শেখ ওরফে কামরান শেখ (২৭)।

পুলিশ সুপার জানান, গত বৃহস্পতিবার ( ২৩ মার্চ) পাবনার ঈশ্বরদীর জয়নগর পাটশালার মোড়ে দাশুরুয়া-রুপপুর মহাসড়কের পাশে রাকিবুল হাসানের চাল ও মুড়ি উৎপাদনের চাতাল মিলে ডাকাতি হয়। চাতালের নাইটগার্ডের হাত-পা ও মুখ বেধে দুর্ধর্ষ ডাকাতি করে পালিয়ে যান ডাকাতরা। ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করে বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ ডাকাতকে আটক করে পুলিশ।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, এরা সবাই পেশাদার ডাকাত। তারা ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান। এ সময় সুযোগ বুঝে ডাকাতি করেন তারা। বিশেষ করে মহাসড়কের পাশে যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেইসব প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে ডাকাতি করেন তারা। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে একটি ট্রাক, মোটরসাইকেল, হাঁসুয়া, ডাকাতি করা চাল, মুড়িসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের নামে দেশের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতি, দস্যুতা, ছিনতাই, হত্যা ও মাদকসহ ৪-৮টি পৃথক পৃথক মামলা রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

সংবাদ সম্মেলনে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান, সদর সার্কেল ডিএম হাসিবুল বেনজীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।