হামলা করতে গিয়ে মোটরসাইকেল রেখে পালালেন আ.লীগ নেতা

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৮:০২ পিএম

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুরে বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। হামলার এক পর্যায়ে স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যান তিনি। পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে মোটরসাইকেলগুলো জব্দ করে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে গণমাধ্যমের কাছে ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাতে চরতারাপুরের শুকচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যাক্তি ফেরদৌস আলম ফিরোজ খান চরতারাপুর ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শুকচর গ্রামের মো. বকুল খানের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফিরোজ সুজানগরের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় এই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা এবং চরতারাপুরের বালিয়াডাঙ্গী ও দিঘী গোহাইলবাড়িসহ কয়েকটি বালুমহলের নিয়ন্ত্রণ করেন। এতে বাধা দিলে মাঝেমধ্যে এলাকাবাসীদের বাড়িঘরে হামলা করাসহ নানা হুমকি-ধামকি দেন। তারাবির নামাজ পড়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে প্রায় অর্ধশত সহযোগী নিয়ে ১৫-২০টি মোটরসাইকেলযোগে শুকচর গ্রামের শামসুল প্রামাণিকের বাড়িতে হামলা করেন।

তারা আরো জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই সন্ত্রাসীরা বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর শুরু করেন। ঘরের ভেতর প্রবেশ করে ঘুমন্ত কয়েকজনকে টেনেহিঁচড়ে বের করে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় বাড়ির নারী সদস্যদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে ৭টি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যান ফেরদৌস আলম ফিরোজ ও তার সহযোগীরা। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পাবনা সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মোটরসাইকেলগুলো জব্দ কযানা

তবে এ ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত নেতা ফেরদৌস আলম ফিরোজ খান জানান, ‘তারাবির নামাজের সময় ছেলেপেলেদের সঙ্গে একটা ঝামেলা হয়েছিল। পরে এটা নিয়ে তাদের মাঝে ধাক্কাধাক্কি হয়। আমি সেই ঘটনা শুনে দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখানে বালুমহল নিয়ে কোনো ঘটনা ঘটেনি।’ পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘তারাবির নামাজ পড়া নিয়ে দুই পক্ষের ঝামেলা হয়েছিল। একপক্ষ মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে গেছে। পরে পুলিশ গিয়ে মোটরসাইকেলগুলো জব্দ করেছে। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: