রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত করেছে প্রথম আলো: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৯:০৪ পিএম

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রথম আলো ২৬ তারিখ অনলাইনে যে সংবাদটি পরিবেশন করেছে, এটি অবশ্যই রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত হেনেছে। স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে একটা ছেলেকে ১০ টাকা দিয়ে ফুসলিয়ে তাকে দিয়ে কথা বলানোর চেষ্টা করা হয়েছে, সে যেটি বলেনি সেটি প্রচার করা হয়েছে, এটি ঠিক হয়নি বলেই তো তারা সরিয়ে নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী জানান , প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়, তার আগে মামলা হয়েছে। মামলা হওয়ার পরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোর্টে প্রডিউস করা হয়েছে। এখন প্রথম আলো যে ব্যাখ্যা দিয়েছে কোর্টে সে ব্যাখ্যা দেবে, কোর্ট সেটার বিচার করবে।

তথ্যমন্ত্রী আরো জানান, অনলাইন ভার্সন প্রেস কাউন্সিলের অধীনে আসেনি। অনলাইন নিউজ মিডিয়া ইজ নট আন্ডার দ্য জুরিসডিকশন অব প্রেস কাউন্সিল, অর ফেসবুক পেজ অফ এনি নিউজ পেপার ইজ নট আন্ডার দ্য জুরিসডিকশন অব প্রেস কাউন্সিল এবং প্রেস কাউন্সিলের তিরস্কার করা ছাড়া আর কোনো ক্ষমতা নেই।

তিনি আরো  বলেন, তুলে নেওয়া এবং গ্রেপ্তার হওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। কাউকে বিনা অপরাধে কেউ যদি নিয়ে যায়, সেটা তুলে নেওয়া। আর কারও অপরাধ হয়েছে, মামলা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কাউকে যদি নিয়ে যায়, সেটা হচ্ছে গ্রেপ্তার করা। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভুল তো হতে পারে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভুল। রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত হেনে সেটি কি ভুল? ভুল যদি হয় তারা সেটা আদালতে ব্যাখ্যা দেবে। কিন্তু যে সংবাদটি পরিবেশন করা হয়েছে সেটি এখনো ফেসবুকে আছে। এখনো তো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আছে। সরে গেলেও তো সরে যায় না যেকোনো জিনিস। হাছান মাহমুদ বলেন, আমি যদি কাউকে আঘাত করে আহত করি এবং এরপর সরি বলি তাহলে কি আমার অপরাধ ঢেকে যায়?

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: