ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে স্কুলের মালামাল চুরির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১১:১০ পিএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর হাইস্কুলের ল্যাব ও অফিস কক্ষের তালা ভেঙে বিভিন্ন আসবাবপত্র চুরি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত সুমন আলী শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে। সুমন দাইপুকুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসগার আলী চুরির বিষয়ে বলেন, শুক্রবার (৩১ মার্চ) জুম্মার নামাজের সময় সবাই নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে গেলে সেসময় ফাঁকা পেয়ে স্কুলের তালা ভেঙে বিভিন্ন আসবাবপত্র চুরি করে দুটি ভ্যানে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি জানাজানি হলে মালামাল খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে শিবগঞ্জ উপজেলার আড়গাড়া হাট ও গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা থেকে দুটি ভ্যান চুরির মালামালসহ উদ্ধার করা হয়।

আসগার আলী আরও বলেন, ভ্যান চালক ভাংড়ি কেনা-বেচা করে। ভ্যানচালককে জিজ্ঞেস করা হলে সে বলে, অভিযুক্ত সুমন স্কুলের পিয়ন পরিচয় দিয়ে সেসব মালামাল বিক্রি করেছে। স্কুলে এর আগেও বিভিন্ন সময় চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মিলন আলী বলেন, শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ১ টার দিকে আমি এবং আমার এক বন্ধু স্কুলের পাশ দিয়ে আসার সময় সুমন ও তার তিন সহযোগীকে স্কুলের মালামাল চুরি করে ভ্যানে নিয়ে যেতে দেখি। তা দেখে আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাই। ততক্ষণে সুমন ও তার সহোযোগীরা পালিয়ে যায়।

কথা হয় আরও একজন স্থানীয় বাসিন্দার সাথে। তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন আগে সুমন ট্রাক্টারের ব্যাটারি চুরি করেছিল। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সে ওই ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিয়েছিল।

এবিষয়ে জানতে সুমনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে। তিনি বলেন, আমাকে কেউ দেখেনি। আর এই চুরির ঘটনার সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।

সুমনের অভিযোগের বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সমিউর রহমান বাবুর কাছে জানতে চাইলে। তিনি বলেন, যদি সুমন স্কুলের মালামাল চুরি করে থাকে। আর সেটার সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: