নোয়াখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকি

প্রকাশিত: ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৬ পিএম

নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের উজির আলী মুন্সি বাড়ির প্রকৌশলী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী মুর্তজাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে একই এলাকায় আবদুল আহাদ, রাকিবুল হোসেন, রিয়াদ ও হারুনুর রশিদ মিন্টুর বিরুদ্ধে। এতে আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মুক্তিযুদ্ধার পরিবারের সদস্যরা। তবে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি পুরো অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে সকল ব্যক্তিরা। পুলিশ বলছে ঘটনা তদন্তে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আলী মুর্তজা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রকৌশলী। সমাজে মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা ও বিভিন্ন সমাজিক প্রতিষ্ঠানে সম্পত্তি তাদের দান অনুদান রয়েছে। আলী মর্তুজা একজন সম্ভ্রান্ত পরিবার সন্তান ও প্রথম শ্রেণীর প্রকৌশলী। গতকাল শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকালে আছর নামাজে সময় মসজিদে বৈদ্যুতিক পাখার সুইচ অফ ও অনকে কেন্দ্র করে পাশের বাড়ির হারুনুর রশিদ মিন্টুর ছেলে আহাদ ও রাকিবুল হোসেন, রিয়াদ ও তার পিতা হারুনুর রশিদ মিন্টু এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।থানায় মামলা মোকদ্দমা করলে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় তারা।পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা।

এ বিষয়ে ইউসিবি ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার নুরুল ইসলাম বিডি২৪লাইভকে বলেন, গতকাল শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকালে মসজিদের ভিতরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী মর্তুজাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা তিনি নিজে দেখেছেন। তিনি নিজেও তাদের বাধা দিয়েছেন। এ ঘটনার সঠিক বিচার হোক এ প্রত্যাশা করেন তিনি।

স্থানীয় কিসলু নামে একজন ব্যক্তি বিডি২৪লাইভকে বলেন,একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রকৌশলীকে এভাবে মসজিদের ভিতরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা সমীচীন নয়। তিনি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাকে মারধর করা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে অবমাননা করা। যাদের দান অনুদানে এলাকায় মসজিদ, মাদরাসা এতিমখানা। উনারা এলাকায় সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান।তবে যারা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক মারধর করেছে তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।

প্রকৌশলী বীর মুক্তিযোদ্ধা মর্তুজা আলী বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তারা যেভাবে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত,অপদস্ত ও মারধর করেছে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। তাদের কাছে সাধারণ মানুষও নিরাপদ নয়। মসজিদের ভিতর আমাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরেছে। থানায় অভিযোগ ও মামলা করলে আমাকে মেরে ফেলবে এ ধরনের হুমকি দিচ্ছে।আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। থানাতে অভিযোগ করেছি।আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।

তবে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে থানায় অভিযোগে বিবাদী আবদুল আহাদকে মুঠোফোন ফোন দিলে বিডি২৪লাইভকে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি প্রবাসে থাকেন। বাড়িতে আসছেন। তিনি এলাকায় সমাজসেবামূলক কাজ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা তাদের প্রতিবেশী। তার বয়স ৮০ হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগ করেছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক রনি বিডি২৪লাইভকে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মর্তুজা আলী থানাতে অভিযোগ করেছেন। তাৎক্ষণিক তদন্তে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় তদন্তে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: