সেবার মান নিশ্চয়তায় প্রশংসায় ভাসছে নির্বাচন অফিস

প্রকাশিত: ১১ মে ২০২৩, ১১:৫৯ পিএম

সেবার মান নিশ্চয়তা, হয়রানি ছাড়া সেবা ও স্বচ্ছতার ভরশা হয়ে উঠেছে ঈশ্বরদী নির্বাচন অফিস কার্যালয়। রাষ্ট্রের যেকোন কাজে জাতীয় পরিচয়পত্র হলো একজন নাগরিকের অত্যাবশকীয় সনদ। রাষ্ট্রের এ গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সম্পন্ন করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন, সংশোধন, তথ্য হালনাগাদ সংক্রান্ত সেবা গুলো সহজ ও স্বচ্ছভাবে নাগরিকদের পৌছে দিচ্ছে ঈশ্বরদী নির্বাচন অফিস কার্যালয়। তথ্য সংক্রান্ত বিষয়ে বৃহঃস্পতিবার (১১ মে) সকালে নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে সরজমিনে গিয়ে এমনটি চিত্র উঠে আসে।

পাবনা জেলার ঈশ্বরদী দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপজেলা। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত এই উপজেলায় নারী পুরুষ সহ মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৩২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৯৭ ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫ জন। নির্বাচন অফিস সুত্রে, গত দেড় বছর আগে ক ক্যাটাগরির নতুন, পুরাতন ও সংশোধনীসহ পুঞ্জিভূত আবেদন ছিল ১৮০০টি। অথচ ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সেই আবেদন সংখ্যা ৫টিতে নেমে আসে। বর্তমানে নতুন ১৯৬ টি আবেদন যোগ হয়েছে। মৃত ভোটার স্ট্যাটাস ছিলো কিন্ত তদন্তে জীবিত ৪১ জনের আবেদন নিস্পত্তি করা হয়েছে। দ্বৈত ভোটার নিস্পত্তি করা হয়েছে ৮টি। ২০১৯ সালের নিবন্ধিত ভোটারদের স্মার্টকাড বিতরণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৭১১ জন ভোটারকে। অবশিষ্ট ৪০৪ জন ভোটার যাদের অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন, আবার অনেকে স্থানান্তরিত হয়েছেন।আরও জানা যায়, ক, খ, গ ও ঘ ক্যাটাগরির তদন্ত ছিলো ৭০০ টি যা এখন ২৭২ টিতে নেমে এসেছে।

সেবা নিতে আশা গ্রাহকরা জানান, ঈশ্বরদী নির্বাচন অফিসের সেবার মান অনেক ভালো। জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল সংশোধনী বা যেকোন সেবা নিতে আসলে কোন হয়রানি ছাড়ায় এখানে সেবা পাচ্ছি। জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত যেকোন সেবা নিতে আসলে কোনরূপ হয়রানি ছাড়ায় সেবা পাই।

ঢাকা থেকে আশা একজন ভোটার জানান, বাবার ব্যবসাসূত্রে ঢাকায় ছোট থেকে বড় হয়েছি। ভোটারও ছিলাম ঢাকায়। বাবার এখন বয়স হয়েছে, তিনি গ্রামে থাকতে চান, তাই আমিও বাবার সাথে গ্রামে থাকবো বলে ভোটার স্থানান্তরের জন্য আবেদন করি। কোন রকম হয়রানি ছাড়া মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে এখানে স্থানান্তর হতে পেরেছি। ভেবেছিলাম সরকারি দপ্তর গুলাতে হয়রানি ছাড়া কাজ হয়না। কিন্তু এখানে তার উল্টো দেখলাম। কোনরকম হয়রানি ছাড়া এতো সহজে এখানে সেবা পাবো ভাবি নাই।

আবির নামে অপর একজন জানান, সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। বাবার পরিচয়পত্রে নামে ভুল থাকায় পূর্বে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তাই বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে নির্বাচন অফিসে আসলে তারা কিছু তথ্য আমাকে সাবমিট করতে বলে। পরে যাচাই বাছাই করে এতো দ্রুত সংশোধন হবে বুঝতে পারিনি।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন অফিসার আশরাফুল হক বিডি২৪লাইভ কে জানান, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে আমি ঈশ্বরদী নির্বাচন কমিশন কার্যলয়ে যোগদান করি। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এখানে ২০০০ হাজারের কাছাকাছি আবেদন পাই। যোগদানের পরে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অফিসে তেমন সময় দিতে পারিনি। পরে বিভিন্ন ক্যাটাগরির আবেদন ও তদন্তগুলো দ্রুত সংশোধনীর জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করি।

তিনি আরও বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ভোটারদের কাগজপত্র গুলো সঠিক থাকলে দ্রুত সমাধানে চেষ্টা করি। গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হওয়ায় এখানে বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ বাস করেন। কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় অনেক জটিলতার সৃষ্টি হয়। তবুও জনগণের সেবায় কখনো দায়িত্বে অবহেলা করিনি। সরকারি সেবা জনগনের কাছে সুষ্ঠুভাবে পৌঁছে দেয়া আমার দায়িত্ব। আমি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাচন অফিস সব সময় নাগরিকদের স্বচ্ছ সেবা দিয়ে যাবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: