যে অভিযোগে এএসপি সোহেলকে বরখাস্ত করল সরকার

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২৩, ১১:৫৬ পিএম

সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে সরকার। তার নাম মো. সোহেল উদ্দিন। পুলিশের এই কর্মকর্তা বর্তমানে কুড়িগ্রামের রৌমারী সার্কেলের এএসপি হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ৩৬তম ব্যাচের কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান এই প্রজ্ঞাপনে সই করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- এএসপি মো. সোহেল উদ্দীনের (বিপি-৮৭১৮২২০৫৭৮) বিরুদ্ধে তার স্ত্রী রিফাত জাহান ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (নং ২৭) সিআর মামলা (১১১৮/২০২২) দায়ের করেন। এই মামলায় ২০২২ সালের ২ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (নং ১) আতামসমর্পণ করে জামিন নেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (নং ২৭) আসামি এএসপি সোহেল উদ্দীনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। সেহেতু, বাংলাদেশ সার্ভিস রুল পার্ট-১ এর বিধি ৭৩ অনুয়ায়ী মো. সোহেল উদ্দীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। জারিকৃত আদেশ তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ফৌজদারি জামিন গ্রহণের (২ অক্টোবর, ২০২২) দিন থেকে কার্যকর হবে।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শুধু স্ত্রীকে নির্যাতন নয়, তার বিরুদ্ধে আছে বিয়ের প্রলোভনে বিসিএস ক্যাডারের এক নারী কর্মকর্তাকে ধর্ষণ এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাও। ওই মামলার আরেক আসামি চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় কর্মরত নওশীন মজুমদার ইলা নামের এক সাব-ইন্সপেক্টর। তিন দিন ঢাকার মালিবাগে (২০২২ সালের ২৭,২৮ ও ২৯ জানুয়ারি) এএসপি সোহেলের বাসায় অবস্থান করে চট্টগ্রামের কর্মস্থল ইন-সার্ভিস-ট্রেনিং সেন্টারে হাজির দেখানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাব-ইন্সপেক্টর নওশীন মজুমদারকে ইতিপূর্বে সাময়িক বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষ। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এএসপি মো. সোহেল উদ্দীনের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানাধীন মনতলা গ্রামে। বাবার নাম মো. হাবীব উল্যা পাটোয়ারী। ঢাকার মালিবাগে ২২২/৯ পাবনা কলোনিতে একটি বাসা আছে।

মামলার বাদী রিফাত জাহান বলেন, সোহেল সহজ-সরল মেয়েদের ফাঁদে ফেলে তার কামনা চরিতার্থ করে কেটে পড়ে। কাজীর সাথে যোগসাজশে পোস্ট অফিসের কাগজ জালিয়াতি করে সে আমাকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছে। সোহেল একজন বড় মাপের প্রতারক।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: