কক্সবাজার পৌর ভোট: প্রতীক পেয়ে প্রচার শুরু, প্রার্থীদের নানা অঙ্গীকার

প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৩, ১০:৪০ পিএম

কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। পাঁচ মেয়রসহ ৭৭ জন প্রার্থী জুমার নামাজ শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামেন।

অভিযোগ উঠেছে, শুক্রবার (২৬ মে) দুপুরে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর অধিকাংশ প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। দুপুর থেকে শহরের প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে প্রার্থীরা শত শত কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল ও মাইকিং করে ভোট চেয়ে প্রচার চালান। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এক মেয়র ও পাঁচজন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

শুক্রবার (২৬ মে) পাঁচ মেয়র প্রার্থী, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হিসেবে চারটি ওয়ার্ডের ১৬ নারী কাউন্সিলর প্রার্থী, ১২টি সাধারণ ওয়ার্ডের ৫৬ কাউন্সিলর প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেন কক্সবাজার জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা।

বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসেদুল হক রাশেদ প্রচার চালানোর সময় বলেন, আমার বাবা তাঁর জীবদ্দশায় কক্সবাজারবাসীর সেবা করে গেছেন। মানুষের জন্য তিনি জীবন-যৌবন শেষ করেছেন। আমি বাবার মতোই শহরবাসীর সুখ-দুঃখে পাশে থেকে সেবা করতে চাই।

কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরোও বলেন, প্রতীক বরাদ্ধের জন্য এসে নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসের সামনে আপনারা যেভাবে সমেবেত হয়েছেন। সেটি সমাবেশে পরিণত হয়েছে। যা আমার জন্য অনেক কিছু। আপনার ঋন শোধ করার ক্ষমতা আমার নেই। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

আ.লীগের প্রার্থী (নৌকা) মাহবুর রহমান বলেন, পৌরবাসীর জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা থাকবে। ব্যক্তিগত জীবনে আমার কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। কক্সবাজার শহর আমার প্রাণের শহর, এই শহরের প্রতিটি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমার একমাত্র চাওয়া।

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী জাহেদুর রহমান জুমার নামাজ শেষে শুরু করেন গণসংযোগ। পরে নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রচার শুরু করেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী বলেন, কক্সবাজার শহরকে একটি শান্তি, সমৃদ্ধ শহরে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সারা দেশে এই শহর হবে মডেল। কক্সবাজার হবে সব ধর্মের, বর্ণের মানুষের সমান সুযোগের শহর।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম শাহাদাত হোসেন বলেন, নিয়ম মতে ৭৭ প্রার্থী প্রতীক পেয়েছেন। এখন যেন আচরণবিধি মেনে প্রচার চালান। আগামী ১২ জুন পৌরসভার ৪৩টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে।

তিনি জানান, মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরীকে নৌকা প্রতীক, বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসেদুল হক রাশেদকে নারকেল গাছ প্রতীক, তার স্ত্রী জোসনা হককে মোবাইল প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী জগদীশ বড়ুয়াকে হেলমেট প্রতীক ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. জাহেদুর রহমান হাত পাখা প্রতীক পেয়েছেন।

এদিকে শহরের ওয়ার্ডগুলোতে কাউন্সিলর প্রার্থীরাও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় শুরু করেছেন প্রচার-প্রচারণা। কেউ কেউ প্রতীক পাওয়ার পর মিছিল নিয়ে বের হয়েছেন। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাত মিলিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।

জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা ৯৪ হাজার ৮০২ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৯ হাজার ৮৭৯ জন ও নারী ভোটার ৪৪ হাজার ৯২৩ জন।

 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: