গবেষণায় চুরি ঠেকাতে ঢাবিতে ‘চৌর্যবৃত্তির’ নীতিমালা চূড়ান্ত 

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৩, ০১:৪১ পিএম

গবেষণায় স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ‘চৌর্যবৃত্তি’ কিংবা ‘Plagiarism’ নীতিমালা চূড়ান্ত করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। গবেষণাতে নকল বা সামঞ্জস্যের মাত্রা অনুযায়ী সংশোধনের সুযোগ দেওয়া সাপেক্ষে জরিমানা, ডিগ্রি বাতিল ও পদাবনতি, এমনকি সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভায় সভাপতিত্বে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের (সিন্ডিকেট) এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রেরিত এক বার্তায় ‘চৌর্যবৃত্তি’ কিংবা ‘Plagiarism’ নীতিমালার চূড়ান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

নীতিমালায় গবেষণায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত সামঞ্জস্যকে ‘গ্রহণযোগ্য’ (লেভেল-০) বলা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে একক উৎস থেকে সর্বোচ্চ ২ শতাংশের বেশি তথ্য ব্যবহার করা যাবে না। এর বেশি মাত্রার সামঞ্জস্যের জন্য জরিমানা, পদাবনতি, ডিগ্রি বাতিল থেকে চাকরিচ্যুতি পর্যন্ত শাস্তির মুখে পড়তে হবে দায়ী ব্যক্তিদের।

জানা গেছে, নীতিমালায় অন্য মাত্রাগুলো হলো— নিম্ন (লেভেল-১), মধ্য (লেভেল-২), উচ্চ (লেভেল-৩) ও পুনরাবৃত্তি (লেভেল-৪)। গবেষণায় ২০-৪০ শতাংশ পর্যন্ত সামঞ্জস্য নিম্ন, ৪০-৬০ শতাংশ মধ্য এবং ৬০ শতাংশের বেশি সামঞ্জস্য উচ্চমাত্রার সামঞ্জস্য হিসেবে গণ্য হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ‘দ্য রুলস ফর দ্য প্রিভেনশন অব প্লেজারিজম’ শীর্ষক নীতিমালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর সেটি ডিনস কমিটির মিটিংয়ে উত্থাপন করার পর আজ সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত করা হয়। বলা হচ্ছে ২০২০ সালের অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির এক সুপারিশের আলোকে এই নীতিমালা করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: