জয়পুরহাটে একজনের মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৩, ০৪:৩৩ পিএম

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামে সাত হাজার টাকার জন্য খুনের মামলার আসামি শাহীনকে মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং মামলাটি অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য বাদী আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় তাকেও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন এ রায় প্রদান করেন।

সরকারী কৌশলী এ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, ২০০৬ সালের ২০ মে রাত আনুমানিক আটটার দিকে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মহবতপুর গ্রামের আলম খাঁকে সাত হাজার পাওনা টাকার জন্য একই গ্রামের মো: শাহিন তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আনজু আরা বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০৬ সালের ১২ নভেম্বর জয়পুরহাট আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহারের জন্য ক্ষেতলাল থানায় পাঠিয়ে দেন। আদালতের নির্দেশ ক্রমে ২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় ক্ষেতলাল থানার উপ-পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম সাত জনের নাম উল্লেখ করে ২০০৭ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এ মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহন ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিচারক শাহিনকে মৃত্যুদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে আজ রায় দেন। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় আদালত ৬জন আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। এর মধ্যে এক আসামি মামলা চলাকালীন সময় মৃত্যুবরণ করেন। সেই সাথে আসামীদের সংগে কৌশল করে মামলাটিকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অপরাধে বাদী আলম খাঁর স্ত্রী আনজু আরা ৫ বছরের কারাদন্ড ও ১০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয় আদালত ।

মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পিপি এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডঃ মুস্তাফিজুর রহমান।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: