জয়পুরহাটে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে কিশোর খুন

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৩, ০৭:২৭ পিএম

জয়পুরহাটের গুলশান মোড়ে অবস্থিত এন এ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে অভ্যন্তরীণ কলহের জের ধরে খুনের ঘটনায় একদিন পার হলেও কোন অগ্রগতি নেই। মূল আসামী এখনও ধরাছোয়ার বাইরে। অপরদিকে, ওই মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মালিক বিপ্লব কুমার, ম্যানেজার বাধনসহ ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের রান্নাঘরে আব্দুর রহমান (১৫)কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, খুন হওয়া আব্দুর রহমানের মা আমিরুন বেগম বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামীকে করে রাতেই হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত আব্দুর রহমান জয়পুরহাট সদর উপজেলার দিওর গ্রামের ভ্যান চালক লদু মিয়ার ছেলে।

এন এ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মালিক বিপ্লব কুমার জানান, একটু মাদকাসক্ত অবস্থায় আব্দুর রহমানকে পরিবারের সদস্যরা ২ বছর পূর্বে জয়পুরহাট শহরের গুলশান মোড় এলাকার আমার এন এ মাদকাসক্ত কেন্দ্রে ভর্তি করিয়ে দেন। সে এখন পরিপূর্ন ভাবে সুস্থ তাই তাকে এবার পুলিশ লাইনস স্কুলে ৮ম শ্রেনীতে ভর্তি করে দিয়েছেন বলেও জানান বিপ্লব। মাদকাসক্ত কেন্দ্রের রান্না ঘরে বাবুর্চীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি নিয়ে আব্দুর রহমানকে এলোপাতারী কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় বাবুর্চী আবু জাফর।

এ ঘটনার পর থেকে পলাতক বাবুর্চী আবু জাফরকে ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে হানা দিয়েও কোন সফল হতে পারেনি। আবু জাফর মাদকাসক্ত হয়ে ওখানে থেকে ভালো হয়ে বর্তমানে বাবুর্চীর কাজ করতো বলে জানা গেছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের বিশেষ টীম কাজ করছে বলে জানান ওসি সিরাজুল ইসলাম। অপরদিকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের ময়না তদন্ত শেষে আব্দুর রহমানের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে এবং রাতেই তাকে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

একমাত্র ছেলে আব্দুর রহমানকে হারিয়ে মা আমিরুন বেগমের কান্না ও আহাজারীতে এলাকার বাতাশ ভারী হয়ে ওঠে। রাতেই মা বাদী হয়ে বাবুর্চী আবু জাফরের নাম উল্লেখ করে আরও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামীকে করে রাতেই হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান ওসি সিরাজুল ইসলাম।

এ ঘটনায় এন এ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে বর্তমানে ১৩ জন মাদকসেবী চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান জয়পুরহাট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক রফিকুল ইসলাম।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: