মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২৩, ০৪:৩৪ পিএম

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরঝিকড়ী গ্রামের মালেক মন্ডলের ছেলে শফিকুল ইসলাম মন্ডলকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন, একই সাথে সামাজিক ভাবে তাদের হেয় করার অপ্রচেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছেন বলে দাবী শফিকুল ইসলামের পরিবারের। ইতি মধ্যে শফিক মন্ডল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে রাজবাড়ীর আদালতে। মামলার অভিযোগে যা বলা হয়েছে তা মিথ্যা বলেও দাবী তার ও তার পরিবারের।

শফিক মন্ডল একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাসের মেয়েকে ভালবেসে বিয়ে করেছিল ৫ বছর আগে। তাদের সংসারে ৮ মাসের শেফা নামের একটি ফুটফুটে কণ্যা সন্তান রয়েছে। দির্ঘদিন শফিক সিঙ্গাপুরে প্রবাস জীবন অতিবাহিত করে দেশে আসছেন ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদে। ১লা ফ্রেরুয়ারী শফিকুল ইসলামের বড় ভাই ফরিদ মন্ডল মারা যাওয়ায় দেশে ফেরেন তিনি। এরই মধ্যে তার স্ত্রী তামান্না সন্দেহ করে বসেন তার সদ্য বিধবা হওয়া ভাবীর সাথে তার পরোকিয়ার সর্ম্পক রয়েছে যা সম্পূন্য মিথ্যা ও বানোয়াট।

এদিকে তার স্ত্রী ও শশুড় বাড়ীর লোকজন বিভিন্ন ভাবে অপ্রচার করে চলছেন যে আমার ভাবীর সাথে আমার বিয়ে বা অন্য রকম সর্ম্পক রয়েছে এ নিয়ে পত্র পত্রিকায় ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আমার ও আমার পরিবারকে সামাজিক ভাবে হেয় করার চেষ্ঠা করা হয়েছে, যা সম্পূন্য মিথ্যা বানোয়াট যার কোন ভিত্তি নেই। আমি আমার বিরুদ্ধে হওয়া সংবাদ সমূহের ত্বীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান, আমার টাকা ফেরত দেওয়ার ভয়ে আমার শশুড় বাড়ীর লোকজন এসব বানোয়াটি তথ্য ছড়িয়ে চলছে।

আমার ভাবীকে জড়িয়ে বাজে কথা ছড়ানোয় সে মানসিক ভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছে, ইতি মধ্যেই আমি আর স্ত্রী তামান্নাকে তালাক দিয়েছি, এর প্রেক্ষিতে তারা একাধীক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের হয়রানী করে চলছে।

আমি কোন শারিকির নির্যাতন করিনি তার প্রমান তার চিকিৎসা রির্পোট সে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে পরের দিন পালিয়ে চলে এসেছে, আমি তাদের কাছে অনেক টাকা পাব আমি তাদের পরিবারের কাছে যৌতুক চেয়েছি এটা হাস্যকর। আমি বিয়ের সময় কাবিনের সমূদয় টাকা পরিশোধ করে দিয়েছিলাম।

এছাড়া শফিকুল ইসলাম আরো জানান, বিয়ের সময় আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে কোনপ্রকার উপঢৌকন নেওয়া হয়নি বরং আমি প্রবাসে থেকে উপার্জন করে এসে স্ত্রীকে কয়েক পদের গহনা দিয়েছিলাম। সে সকল গহনা সে নিয়ে গেছে।

তালাকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি বিয়ে করেছি সংসার করার জন্য কিন্তু সে (তামান্না) আমার শোকসন্তপ্ত পরিবারে নানাবিধ অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। একটা পর্যায়ে তাকে তালাক দিতে বাধ্য হই।

এ ব্যাপারে হাবাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম মন্ডল বলেন বিষয়টি দুঃখজন পরিবারটিকে নানা ভাবে হয়রানীর চেষ্ঠা করা হচ্ছে। পাংশা মডেল থানার এস আই ও হাবাসপুর বিট পুলিশের কর্মকর্তা আব্বাস উদ্দিন বলেন এ বিষয় নিয়ে একাধিক মামলা কোর্টে হয়েছে বিষয় গুলো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: