জয়পুরহাটে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে খুনের ঘটনায় মূল আসামী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২৩, ০৫:২২ পিএম

জয়পুরহাটের গুলশান মোড়ে অবস্থিত এন এ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে খুনের ঘটনায় মূল আসামী বাবুর্চী আবু জাফরকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দিনাজপুর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার করেছে জয়পুরহাট থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার সকালে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের রান্নাঘরে আব্দুর রহমান অনিক (১৫)কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় আবু জাফর।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, আবু জাফর (২৮) দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার ডুগডুগি পশ্চিম পালশা গ্রামের বারী মাষ্টারের ছেলে। সে জয়পুরহাটের গুলশান মোড়ে অবস্থিত এন এ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়ে ভালো হওয়ার পরে ওখানেই বাবুর্চী হিসেবে কাজ করতো। আব্দুর রহমান অনিকও চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে সেখানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছিলো এবং মালিক বিপ্লব কুমারের একজন বিশ্বস্ত কর্মচারী। মঙ্গলবার সকালে নিরাময় কেন্দ্রের জন্য খিচুড়ি রান্নাকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রান্নাঘরে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। খুনের আব্দুর রহমান অনিকের মা আমিরুন বাদী হয়ে আবু জাফরের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামীকে করে মঙ্গলবারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহত আব্দুর রহমান অনিক জয়পুরহাট সদর উপজেলার দিওর গ্রামের ভ্যান চালক লদু মিয়ার ছেলে। এন এ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মালিক বিপ্লব কুমার জানান, একটু মাদকাসক্ত অবস্থায় আব্দুর রহমানকে পরিবারের সদস্যরা ২ বছর পূর্বে জয়পুরহাট শহরের গুলশান মোড় এলাকার আমার এন এ মাদকাসক্ত কেন্দ্রে ভর্তি করিয়ে দেন। সে এখন পরিপূর্ন ভাবে সুস্থ তাই তাকে এবার পুলিশ লাইনস স্কুলে ৮ম শ্রেনীতে ভর্তি করে দিয়েছেন বলেও জানান বিপ্লব। মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের রান্না ঘরে বাবুর্চীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি নিয়ে আব্দুর রহমানকে এলোপাতারী কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় বাবুর্চী আবু জাফর।

এ ঘটনার পর থেকে পলাতক বাবুর্চী আবু জাফরকে ধরতে পুলিশ বিশেষ অভিযানে নামে। অবশেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়পুরহাট থানা পুলিশের উপরিদর্শক এস এম জুবায়ের হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ টীম দিনাজপুর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জাফরকে গ্রেফতার করছে বলে জানান ওসি সিরাজুল ইসলাম। একমাত্র ছেলে আব্দুর রহমান অনিককে হারিয়ে মা আমিরুন বেগমের কান্না ও আহাজারীতে এলাকার বাতাশ ভারী হয়ে ওঠে। এ ঘটনায় এন এ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে পুলিশ সার্বক্ষনিক তদারকি করছেন। বর্তমানে ১৩ জন মাদকসেবী চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান জয়পুরহাট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক রফিকুল ইসলাম।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: