শিশুকে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ, অবস্থা আশঙ্কাজনক

প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২৩, ০৭:৫২ পিএম

মোহাম্মদ আবির, আখাউড়া (ব্রাহ্মনবাড়িয়া) থেকে: ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরমব্রত নামে তিন বছরের এক শিশুর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ সরকারি স্যালাইন পুশ করেছেন মুক্তা নামের এক সেবিকা (নার্স), রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে তার স্বজনরা। বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে ওই শিশুর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করা হয়। ছোট্ট শিশুটি আখাউড়া পৌর শহরের রাধানগর গ্রামের সুদীপ বণিকের ছেলে।

রুগীর চাচা সঞ্জয় বণিক জানান, বাচ্চাটির জ্বর থেকে খিচুনি শুরু হয়েছিল এ অবস্থায় আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসি, হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার স্যালাইন লিখেছে আখাউড়া সমস্ত ফার্মেসিতে খুঁজেও স্যালাইন পাইনি।

পরে হাসপাতালে আসার পরে নার্স একটি স্যালাইন বের করে স্যালাইনটি পুশ করেছে, পরবর্তীতে স্যালাইনের তিনভাগের এক ভাগ যাওয়ার পরে আমরা লক্ষ্য করলাম স্যালাইনটি ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ। তারপর স্যালাইন টা বন্ধ করা হয়েছে এখন তিনটে বিষয় নিয়ে আমরা টেনশন এ আছি প্রথমত তার (বাচ্চাটির) জ্বর ছিল তার খিচুনি হয়েছে তারপরেও মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন তার শরীরে পুশ করা হয়েছে, এখন সে চোখ খুলছে না। আমি উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলাম, কর্তব্যরত ডাক্তার নিজেদের জিম্মায় চিকিৎসা সেবার আশ্বাস দিচ্ছে।

পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসপাতালে নাই তাকে বিষয়টি জানিয়েছি, আরএমও ট্রেনিংয়ে গিয়েছিল তাকেও বিস্তারিত ফোনে বলেছি তিনি ট্রেনে আছে আখাউড়া এসে বাচ্চাটা কে দেখে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভার.) ডাঃ মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান জানান আমি চট্টগ্রাম একটা ট্রেনিংয়ে আসছিলাম এখন আখাউড়ায় আসতেছি একটু আগে আমাকে ফোন দেওয়া হয়েছিলো, আমি খবর নিয়েছি বেবীর স্যালাইনটা বাহিরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না হসপিটালে একটা পেয়েছে সেটা পুশ করা হয়েছিল, স্যালাইন এর মেয়াদ মে ২০২৩ পর্যন্ত ছিলো একদিনে তেমন রিঅ্যাকশন করার কথা না তারপরে বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, আমি নার্স কে ফোন দিয়েছিলাম সে বলছে স্যার ভুল হয়ে গেছে আমি সাল দেখেছি ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদ আছে কিন্তু মাস দেখি নাই,মে মাস পর্যন্ত মেয়াদ ছিল আমি এটা খেয়াল করি নাই।

এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হিমেল খান বলেন আমি গাড়িতে আছি, ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার হাসপাতালে আছে ওকে জিজ্ঞেস করেন, আমি ও খবর নিতেছি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: