জনসংখ্যাকে আগেও প্রাধান্য দেওয়া সম্ভব হয়নি, এখনও হয়নি: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত: ০৪ জুন ২০২৩, ০৭:৩১ পিএম

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ভৌগলিক অখণ্ডতা এবং প্রশাসনিক সুবিধা আগে দেখতে হবে। এরপর জনসংখ্যা যতটুকু সম্ভব আমলে নিতে হবে। জনসংখ্যাকে আগেও প্রাধান্য দেওয়া সম্ভব হয়নি, এখনও হয়নি। রোববার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে৩০০ সংসদীয় আসনের গেজেট প্রকাশের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন,ভৌগলিক অখণ্ডতা এবং প্রশাসনিক সুবিধা আগে দেখতে হবে। এরপর জনসংখ্যা যতটুকু সম্ভব আমলে নিতে হবে। জনসংখ্যাকে আগেও প্রাধান্য দেওয়া সম্ভব হয়নি, এখনও হয়নি। জনশুমারি আমলে নিতে যাই তাহলে অনেক জেলায় আসন আরো কমে যাবে। কোনো জেলায় একটা আসন হয়ে যাবে। এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, যেহেতু দু'টি নির্বাচন মোটামুটি একই সীমানায় হয়েছে এবং সবশেষ ২০১৮ সালে নির্বাচন হয়েছে সেটাকে যতটা সম্ভব পরিবর্তন না করা। ২০১৪ সালে ৪০টি এবং ২০১৮ সালে ২৫টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন করা হয়েছিল। তার আগে আরো বেশি ছিল। এ সমস্ত পরিবর্তন করলে বেশি সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন,কে কি বললেন, না বললেন- সেটা মূখ্য বিষয় ছিল না। আমাদের কাছে প্রশাসনিক সুবিধা, ভৌগলিক অখণ্ডতা এবং এলাকার ভোটার ও স্থানীয় জনসাধারণ কী চায়, সেটা আমাদের কাছে মূখ্য বিষয় ছিল। কারণ কারা নমিনেশন পাবেন সেটা তো আমরা জানি না। সবার জন্য যাতে সমান মাঠ হয়, সেটা চিন্তা করেই আমরা কাজটি করেছি।

তিনি বলেন,আমরা এটা করি না। সেই ভিত্তিতে আমরা পাঁচটা আসনে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই পাঁচটা আসনের কারণে বাকি পাঁচটাতে পরিবর্তন এসেছে। তিনি আরও বলেন,কারো চাহিদার প্রেক্ষিত্রে নয়, বরং প্রশাসনিক সুবিধা, ভৌগলিক অখণ্ডতা এবং স্থানীয় ভোটার-জনসাধারণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বক্তব্য আমলে নিয়ে করা হয়েছে।

কাউকে সুবিধা বা অসুবিধা ফেলার জন্যে মাত্র ১০ আসনে পরিবর্তন আনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন,প্রশ্নই আসে না। আমরা তো জানিই না কে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, সেটা জানার তো সুযোগ নেই। আইনে যেভাবে বলেছে সেভাবে করেছি। এর বাইরে কাউকে দেখার বা তাকানোর সুযোগ নেই।…যেগুলো আবেদন লজিক্যাল মনে হয়েছে সেগুলো আমলে নিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের লজিক্যাল কাজ করার ক্ষমতা সংবিধান দিয়েছে, আইন দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সেটাই করেছে।

এবারের সীমানা পুননির্ধারণের আদ্যোপান্ত তুলে ধরে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, খসড়া প্রকাশের পর ৩৮টি আসনের সীমানায় পরিবর্তনের জন্য ১২৬টি আবেদন পড়ে। আর ৬০টি আবেদন পড়েছিল, যে খসড়াটা ঠিক আছে কোনো রকম পরিবর্তন করার দরকার নেই। কমিশন এরপর শুনানি দিয়েছে। সবার শুনানি, যত কথা ছিল, যত কাগজপত্র, ম্যাপ জমা দিয়েছে; কমিশন দীর্ঘ সময় ধরে পর্যালোচনা করে একাধিক বৈঠকে। তিনি বলেন,বেশ কিছু আবেদন ছিল, আসন সংখ্যা বাড়ানোর- সে ক্ষমতা তো ইসির নেই। প্রত্যেকটা আসনে কে পক্ষে কে বিপক্ষে বলে সব রেকর্ড করা হয়েছে। একেবারে আদালতের রায়ের মতো করে।

এবার পিরোজপুর-১ ও ২, গাজীপুর ২ ও ৫, ফরিদপুর ২ ও ৪, কুমিল্লা ১ ও ২ এবং নোয়াখালী ১ ও ২ আসনের সীমানায় ছোটোখোটো পরিবর্তন আনা হয়েছে।দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্যে এ ১০ আসনে পরিবর্তন এনে বাকিগুলোয় আগেরবারের মতো একই সীমানায় ভোট করতে যাচ্ছে বর্তমান ইসি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: