মার্কিন ভিসানীতিতে দেশের পোশাক রফতানিতে প্রভাব পড়বে না: ফরিদপুরে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪ জুন ২০২৩, ১১:৪৬ পিএম

ফরিদপুরে বহুমুখী পাট ও পাটজাত পণ্য প্রদর্শনী মেলা-২০২৩ এর উদ্বোধনী শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। রবিবার (৪ জুন) শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পাট অধিদফতর ৫ দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করেছে। মেলায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানের ২২টি স্টল রয়েছে।

এসময় পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, মার্কিন ভিসানীতিতে দেশের পোশাক রফতানিতে প্রভাব পড়বে না। আমেরিকার প্রাইভেট সেক্টর ইমপোর্ট করে আর বাংলাদেশের প্রাইভেট সেক্টর এক্সপোর্ট করে। এখানে সরকারের কোনো ব্যাপার নেই।

মেলার উদ্বোধনী বক্তব্যে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, পাটজাত পণ্য উৎপাদনে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। ঢাকায় যেয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না করে মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। এজন্য ফরিদপুরে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, পাটজাত পণ্যের মার্কেটিংয়ে ভারত আমাদের চেয়ে ১০০ ভাগ এগিয়ে গেছে। আমরা অনেক বেশি পিছিয়ে রয়েছি। আমরা অনেক ভর্তুকিও দিচ্ছি। নারীদের সবচেয়ে ব্যবহৃত পণ্য হলো ভ্যানিটি ব্যাগ। এক্ষেত্রে পাটের তৈরি ভ্যানিটি ব্যাগের বড় বাজার রয়েছে। এ ছাড়া পাটের বস্তায় ধান চাল সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এ বছর যে পরিমাণ ধান উৎপাদন হয়েছে তাতে আমাদের চালের বস্তার চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কথা। তিনি জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়টি তদারকির অনুরোধ জানান। তিনি সরকারি জলাশয়গুলোতে পাট জাগ দেওয়ার পর্যাপ্ত জায়গা রাখা ও খালগুলো পুনঃখননের কথাও বলেন।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সচিব মো. আব্দুর রউফ বলেন, পরিকল্পনা অনুবিভাগ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহমুদ হোসেন, পাট অধিদফতরের অতিরিক্ত সচিব ড. সেলিনা আক্তার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক
মোল্যা প্রমুখ।

বক্তাগণ বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে। আমাদের দেশে পাটজাত পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত না হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না৷ পাটজাত পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশে পাটক্ষেত্রে জোবায়দা করিম গ্রুপ ও আকিজ গ্রুপ দুটি লিডিং প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে তারা বলেন, পাটক্ষেত্রে আমাদের উদ্যোক্তার অভাব রয়েছে। বড় উদ্যোক্তা তৈরি জরুরি হয়ে গেছে। তা নাহলে আমরা ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে অ্যাক্সেস পাবো না। আমাদের 'র' জুট এক্সপোর্ট না করে ফিনিশ্ড প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট করতে হবে।

তারা বলেন, পাটের স্বর্গরাজ্য ফরিদপুর। ফরিদপুরে আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট স্থাপন করা হবে। যাতে কমপক্ষে এক হাজার উদ্যোক্তা তৈরি করা যায়। এ ছাড়া বক্তাগণ পাটচাষীদের ইনসুরেন্সের আওতায় আনা এবং পাটজাত শিল্পে জড়িতদের প্রণোদনা দেওয়ার উপরেও গুরুত্ব দেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: