ঈদের দু'দিন আগে রাজধানী থেকে বাড়িতে ফেরার ধুম পরে যায়। মুসলমানদের এই বড় দু'টি উৎসবে চাকুরীজীবিরা কমবেশি ছুটি পেয়ে থাকেন। তাই এই সময়ে সবাই রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাবার জন্য হুমড়ি খেয়ে পরেন।
সাধারণ মানুষের বাড়িতে ফেরার এই দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ভাড়া বাড়িয়ে দেন লঞ্চ ও বাস মালিকরা। কারণ তারা জানেন, এসময়ে ভাড়া দিগুণ করে দিলেও মানুষ টিকেটের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বে। তবে নিহাত এটি অন্যায়।যে পথে অন্যান্য সময়ে ৫০০ টাকায় বাড়িতে যাওয়া যেত, সেখানে ২০০০ টাকা দিয়েও মিলছে না টিকেট। যথা কারনে ভোগান্তির মুখে পরছেন সাধারণ মানুষ।
স্থান একই হলেও ভাড়া দিগুণ কেন?
এটির বিশেষ কোনো কারন নেই। লঞ্চ কিংবা বাস মালিকরা ঈদ কোরবানি এলেই ভাড়া দিগুণ করে দেন। মূলত তারা মানুষের বাড়ি ফেরার হিড়িককে দুর্বলতা হিসেবে ব্যবহার করেন। ৫০০ টাকার টিকেটের দাম তখন ১৫০০-২০০০ টাকা দিয়েও পাওয়া মুশকিল।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা কি বলছেন?
রাজধানীর সায়দাবাদ এলাকায় ঘুরে যাত্রীদের উপছে পড়া ভিড় দেখা গেছে। বাড়ি ফেরার আশায় তারা দিগুন টাকা দিয়ে ক্রয় করছেন টিকেট। আবার অনেকেই টাকা স্বল্পতার কারনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এ কাউন্টার থেকে ঐ কাউন্টার। বেশীরভাগ যাত্রিরাই বলছেন এটি নেহাত বেআইনি ও যাত্রী হয়রানি।
তাহলে উপায় কি?
আইনের সুদৃষ্টি ছাড়া এ সমস্যা সমাধানের উপায় নেই। যেহেতু এটি অন্যায় ও হয়রানিমূলক কাজ, সেহেতু প্রশাসন পক্ষ থেকে শক্ত হাতে এ সমস্যা সমাধান করতে হবে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর