
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক বাপন চন্দ্র কুরির সাথে শিক্ষার্থী কর্তৃক অশোভন আচরণের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ। বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুর ১ টায় একাডেমিক ভবনের সামনে শিক্ষককে অসম্মানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানববন্ধন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মানববন্ধনে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুবায়েত সাব্বির বলেন, ‘আমাদের বিভাগ টিচার সংকট, স্টাফ নেই বললেই চলে বিভিন্ন সময়ে স্টাফদের দায়িত্ব অবহেলার দরুণ স্যার স্টাফদের বহিষ্কার করেছেন। এ নিয়ে প্রশাসনের কাছে বললেও তেমন সাড়া না পাওয়া সত্ত্বেও তার আন্তরিকতায় বিভাগটি সুন্দর ভাবে পরিচালিত হচ্ছিল কিন্তু পরীক্ষা কক্ষে ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ইমন শেখ কর্তৃক কলম ছুড়ে মারায় তিনি খুবই অপমানিত বোধ করেন এবং তিনি রেজিস্ট্রার দপ্তরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে ঢাকায় চলে যান। এটা একদিনের ফল না দীর্ঘদিনের পরিপ্রেক্ষিতে এটি ঘটেছে। আমরা চাই ঘটনাগুলির সুষ্ঠু বিচার হোক।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সালেহ আহমেদ বলেন, ‘ছাত্র এবং শিক্ষকের সম্পর্ক পাঠদান পাঠগ্রহন এরও বাইরে শিক্ষা গুরু ও শিষ্য।আমি মনেকরি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এটিই মনে করে কিন্তু গুটিকয়েক শিক্ষার্থীর জন্য এই পরিবেশ নষ্ট হবে আমরা কখনো হতে দিতে পারি না। আমাদের ছাত্র এবং শিক্ষকদের মিলেই এই পরিবেশটি সুন্দর করতে হবে এবং যে সকল অসুবিধা আছে উভয় পক্ষ মিলেই সমাধান করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি বাপন চন্দ্র কুরিকে চিনি নেহাত ভদ্রলোক বলতে যা বোঝায় এবং তার বিভাগের জন্য তিনি নিবেদিত প্রান। এরকম অবস্থায় তিনি যখন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছ থেকে সহযোগিতা না পান এবং ছাত্রদের কাছ থেকে অসম্মানিত হন তখন রাগ করার স্বাভাবিক। আমরা প্রশাসনের কাছে যাবো এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাইবো এবং তিনি যাতে আমাদের মাঝে সসম্মানে ফিরে আসেন এই দাবি জানাবো।"
উল্লেখ্য, শিক্ষকের সাথে পরীক্ষা কক্ষে অশোভন আচরণকারী ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ইমন শেখপূর্বে বহিস্কৃত হন বলেও জানা যায়। তার বিরুদ্ধে সিনিয়র-জুনিয়র হেনস্তা ও নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর