বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বাজেট বৈষম্যের প্রতিবাদে চার দফা দাবি তুলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা সামাজিক বিজ্ঞান ভবন ও বিজ্ঞান ভবন প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং ভবনের প্রবেশমুখে তালা লাগিয়ে সমাবেশ করেন। ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান শেষে শিক্ষার্থীরা আগামী সপ্তাহে লং মার্চের কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যার মধ্যে ছিল: “খুলবে না, এই তালা আর খুলবে না”, “বৈষম্যের বাজেট বাতিল চাই”, “প্রশাসনের বাজেট মানি না, মানবো না”, “বৈষম্যের গদিতে আগুন জালো একসাথে” ইত্যাদি।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান তানজীল বলেন, “আমাদের আন্দোলনের ফলেই এই প্রশাসন গঠিত হয়েছে। কিন্তু তারা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণে ব্যর্থ। আমরা হতাশ, তাদের কাছে আমাদের কোনো আস্থা আর নেই।”

আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “যুগ যুগ ধরে জবিয়ানরা বাজেট বৈষম্যের শিকার। আজকের কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা জানিয়ে দিতে চাই, শান্তিপূর্ণ উপায়ে দাবি আদায় না হলে আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।”

উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, “চার দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি। প্রশাসনের গাফিলতির কারণে এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই আমরা আগামী সপ্তাহে লং মার্চের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি:-

১. ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং অন্তত ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা।
২. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের কার্যক্রম দ্রুত শুরু এবং পুরান ঢাকায় ড. হাবিবুর রহমান হল ও বাণী ভবনের নির্মাণকাজ ১০ মে’র মধ্যে শুরু করা।
৩. প্রশাসন প্রতি ১৫ দিন অন্তর মুক্তমঞ্চে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও হল নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে ব্রিফ করবে—এ বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা।
৪. আগামী ১৫ মে’র মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা।

সমাবেশে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

সালাউদ্দিন/সাএ