
ভারতে টানেল দুর্ঘটনায় আটকেপড়া ৪০ শ্রমিককে ৮ দিন পরেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। কীভাবে শ্রমিকদের উদ্ধার করা যায় তা নিয়ে নানান পরিকল্পনা হলেও এখনও আশার আলো দেখতে পাননি উদ্ধারকারীরা।
তবে শ্রমিকদের প্রতিনিয়ত পানি, খাবার ও অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু যতই সময় এগোচ্ছে ততই বাড়ছে উদ্বেগ। বাড়ির লোক আটকে রয়েছেন জানতে পেরে অস্থিরতায় দিন পার করছে অসংখ্য পরিবার।
সিল্কিয়ারা থেকে বারকোটের মধ্যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ ধসে গত রোববার সকাল থেকে আটকে রয়েছেন ৪০ জন শ্রমিক। পশ্চিমবঙ্গের হুগলির দুজন ও কোচবিহারের একজন আছেন তাদের মধ্যে। উদ্ধারকাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কর্নেল দীপক পাটিল। তিনি জানান, ‘নিউ অস্ট্রিয়ান টানেলিং মেথড’ অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। এতে সামনে থাকা পাথরের প্রকৃতি বুঝে খননের পদ্ধতি ঠিক করতে করতে এগোনো হয়। প্রথম যে যন্ত্র দিয়ে খনন শুরু হয়েছিল, শক্ত পাথরের সামনে সেটি বিকল হয়ে পড়ে। খননের সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপের ভেতর দিয়ে লোহার পাইপ জুড়তে জুড়তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঠিক হয়েছে, পাইপের কমবেশি তিন ফুটের গহ্বর দিয়ে আটকে থাকা শ্রমিকরা কোনো রকমে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসতে পারবেন। কেউ যদি হামাগুড়ি দেওয়ার মতো অবস্থায় না থাকেন, তাকে এক রকমের বেল্টের জ্যাকেট পরিয়ে বা স্ট্রেচারে শুইয়ে টেনে বার করার কথা ভাবা হয়েছে। মন্ত্রী ভি কে সিংহ এ দিন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, আর দুই থেকে তিন দিনে উদ্ধার অভিযান শেষ করার। বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রোববার (১২ নভেম্বর) উত্তরাখণ্ডের সিল্কইয়ারা ও দান্দানগাঁওকে সংযুক্তকারী টানেল নির্মাণের কাজ শেষে বের হচ্ছিলেন নাইট শিফটের শ্রমিকরা। এ সময় ডে শিফটের শ্রমিকরা প্রবেশ করতে গেলে হঠাৎ করেই সেটি ধসে পড়ে।
সর্বশেষ খবর