
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ গত চার বছর ধরে কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আজ ২৬ নভেম্বর তার কার্যকাল শেষ হচ্ছে। বর্তমান কোষাধ্যক্ষের কার্যকাল শেষ হবার কয়েকমাস আগে থেকেই এই পদে নিয়োগ পেতে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেষ্ঠ্য কয়েকজন অধ্যাপক। তারা হলেন অধ্যাপক শওকত জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম, অধ্যাপক আবুল হোসেন এবং অধ্যাপক মোঃ সেলিম।
জানা যায়, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক শওকত জাহাঙ্গীর ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি কোষাধ্যক্ষ থাকাকালীন সরকার এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে কালো আইন বাতিল করেছেন। কিন্তু তিনি শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে সরকার পতনের আন্দোলনের অনুপ্রেরণা যোগিয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে তার কার্যকালের মেয়াদ শেষ না হতেই ২০১১ সালের অক্টোবরে কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে তাকে অব্যহতি দিয়েছে সরকার।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আইনুল ইসলামকে ২০১১ সালের মার্চে ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছ। নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত থাকায় তাকে সেখানকার কোষাধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সে ঘটনার তদন্ত কমিটি।
সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল সভায় তার সহকর্মী ভুলোগ ও পরিবেশ বিভাগের এক শিক্ষককে মারধর করেন। সরকার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, ভুক্তভোগী শিক্ষকও সরকার, উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের সিদ্ধান্তের পক্ষে কথা বলেছেন। তখনই সরকারি সিদ্ধান্তের বিপক্ষে থাকা শিক্ষকরা আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ওই শিক্ষককে কিল ঘুষি দেন।
ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম জগন্নাথে যোগদানের আগে শিক্ষা ক্যাডার হিসেবে ফেনীর সোনাগাজী সরকারী কলেজের শিক্ষক ছিলেন। সে সময় তিনি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে উল্লাস করে জিয়াউর রহমানের জন্মদিন পালন করে সমালোচিত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা কোনো বিতর্কিত ব্যক্তিকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে চাই না। যার মধ্যে কর্মদক্ষতা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বলীয়ান, এমন কাউকে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দেখতে চান আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীলদল।
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর