
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট—১ ও ২ আসনে অংশগ্রহন করা ১৫ প্রার্থীর মধ্যে ১১ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। প্রার্থীদের জামানত ফিরে পাওয়ার জন্য মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাওয়ার বিধান রয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম জানান, জয়পুরহাট—১ আসনে মোট প্রদত্ত ভোটের পরিমান ছিল এক লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ ভোট। নিয়ম অনুযায়ি আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কেএম রায়হান মন্ডল মনু (ট্রাক) তিনি পান ৬ হাজার ৬২৬ ভোট, জাতীয় পার্টির ডা: এ কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন (লাঙ্গল) পান এক হাজার ৩২৯ ভোট, এনপিপি রুকুনুজ্জামান (আম) পান ৫০৯ ভোট, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ) পান ৪৭০ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জহুরুল ইসলাম (ঈগল) পান ৫ হাজার ৪৬০ ভোট। এ আসনে প্রার্থী ছিল ৭ জন। তারমধ্যে ৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, জয়পুরহাট—১ আসনে নৌকা প্রতীকের আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী এ্যাড: সামছুল আলম দুদু ৯৬ হাজার ১ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নিবার্চিত হয়েছে এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আজিজ মোল্লা পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৭৭৬ ভোট।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: ফজলুল করিম আরও জানান, জয়পুরহাট—২ আসনে মোট প্রদত্ত ভোটের পরিমান হচ্ছে এক লাখ ৯৪ হাজার ৩৩৯ ভোট। নিয়ম অনুযায়ী জামানত ফিরে পাওয়ার জন্য প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাওয়ার বিধান রয়েছে। সেই হিসেবে জয়পুরহাট—২ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হচ্ছেন জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) আবু সাঈদ নুরুল্লাহ পান দুই হাজার ৪১ ভোট, জাসদের আবুল খায়ের মো: সাখাওয়াত হোসেন (মশাল) পান ৫৩৪ ভোট, এনপিপি (আম) আবু সাঈদ পান ৭৫২ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব) মো: নয়ন পান ২০৮ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী আতোয়ার রহমান (ট্রাক) পায় ৭৯৫ ভোট ও আব্দুর রাজ্জাক সরদার (ঈগল) পায় ৩৬২ ভোট। জয়পুরহাট—২ আসনে প্রার্থী ছিল ৮ জন। তারমধ্যে ৬ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
ঊল্লেখ্য, এ আসনে নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এক লাখ ৫১ হাজার ১২৮ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৪১ ভোট।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর