রোজার আগে বিদ্যুতের পাশাপাশি গ্যাসের দামও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে গ্যাসের দাম বাড়ছে কেবল পাইকারি পর্যায়ে। এটি বাসাবাড়ি ও শিল্প কারখানা পর্যায়ে বাড়বে না।
প্রতি ইউনিটে গ্যাসের দাম ৭৫ পয়সা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গ্যাসের দাম প্রতি ইউনিটে ৭৫ পয়সা বাড়ানোর ঘোষণা দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

গ্যাসের দামও বাড়ানো হচ্ছে, তবে বাসাবাড়ির গ্রাহক পর্যায়ে এখন দাম বাড়বে না। শিল্প কারখানা পর্যায়েও গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে না। গ্যাসের দাম সমন্বয় হবে পাইকারি পর্যায়ে। ইউনিটে ৭৫ পয়সা বাড়ানো হবে। এ দাম মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে সমন্বয় করা হবে।

এদিন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন খুবই অল্প পরিমাণে বাড়াচ্ছি। কম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতি ইউনিটে ৩৪ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ব্যবহারকারীদের জন্য প্রতি  ইউনিটে ৭০ পয়সা বাড়ানো হবে। আমাদের লাইফ লাইন গ্রাহক আছেন ১ কোটি ৪০ লাখ। যারা প্রতি ইউনিটে ৪ টাকা বিল দেন। যারা ওপরের দিকে আছেন তারা ৭ টাকা করে দেন। বিপরীতে আমাদের গড়ে উৎপাদন খরচ পড়ে ১২ টাকা। কাজেই সরকারকে একটি বড় অংশ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। আর এই ভর্তুকির পরিমাণ আরও বেড়েছে ডলারের দামের কারণে।’
 
তিনি আরও বলেন, সরকারের ভর্তুকি গত বছর থেকে লাফিয়ে বাড়ছে। তাই আমরা সময়মতো ধীরে ধীরে এটি সমন্বয় করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, আগামী ৩ বছরে আমরা বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করব। তাই সহনীয় পর্যায়ে যেন বিদ্যুতের দাম সমন্বয় হয়, আমরা সেই ব্যবস্থাই নিয়েছি। আমরা অল্প অল্প করে দাম বাড়াচ্ছি।

দাম কার্যকরের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় শুরু করব। পরবর্তীতে ২/৩ বারে আমরা অল্প অল্প করে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করব। বিদ্যুতের দাম বাড়ার গেজেট আজকের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। সেখানেই বিস্তারিত থাকবে। 
 
এ বছর বিদ্যুতে সরকারের ভর্তুকি গুণতে হবে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

বাঁধন/সিইচা/সাএ