ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের বাংলোর সীমানা প্রাচীরের ভেতর থেকে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নবজাতকের মরদেহ ছুড়ে ফেলা সেই ব্যক্তিকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
জানা গেছে, নবজাতকের মরদেহ ফেলা যাওয়া ব্যক্তির নাম সুলতান মিয়া। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক। থাকতেন রাজধানীর আফতাবনগরে।
পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিতে গিয়ে সুলতান মিয়া বলেন, ‘মৃত নবজাতক শিশুটি আমার বাচ্চা। বাচ্চাটা হাসপাতালে মারা যায়। তখন নার্স এসে বাচ্চাটাকে বুঝিয়ে দেয়। টাকা পয়সার অভাবে বাচ্চাটাকে কবর দিতে পারিনি। তখন কবরস্থান মনে করে সেখানে রেখে গিয়েছি। এমন সমস্যা হবে জানলে মরদেহটি বাসায় নিয়ে যেতাম।’
জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবার সুলতানের স্ত্রী মোসাম্মৎ খাদিজা মৃত কন্যা শিশুর জন্ম দেন। এরপর সুলতান হাসপাতাল থেকে লাশ বুঝে নিয়ে গোপনে ঢাবি উপাচার্যের বাংলোর প্রাচীরের ভেতরে নবজাতকের মরদেহ ছুড়ে ফেলে চলে যান।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর