• ঢাকা
  • ঢাকা, শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪
  • শেষ আপডেট ১২ সেকেন্ড পূর্বে
নিউজ ডেস্ক
বিডি২৪লাইভ, ঢাকা
প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০২৪, ০৭:২৪ বিকাল
bd24live style=

অবন্তিকার মৃত্যু, যে ব্যাখ্যা দিলেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম

সংগ্রহীত ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী অবন্তিকার আত্মহত্যার পেছনে নিজের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। জবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের এ সহকারী অধ্যাপক বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। ফেসবুকে দেয়া সর্বশেষ পোস্টে তিনি নিজের মৃত্যুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্বীন ইসলামকে পদ থেকে অব্যাহতি এবং আম্মানকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

তবে অবন্তিকার মৃত্যুর পেছনে নিজের কোনো দায় দেখছেন না দ্বীন ইসলাম। তার দাবি, তিনি অফিশিয়ালি যে দায়িত্ব পেয়েছিলেন সে অনুযায়ী তিনি তা পালন করেছেন। উল্টো নিজ এলাকার মানুষ হওয়ায় অবন্তিকা ও তার পরিবারকে তিনি যথেষ্ট সহায়তাও করেছেন।
 
শনিবার (১৬ মার্চ) সাক্ষাৎকারে দ্বীন ইসলাম বলেন, ঘটনা প্রায় দেড় বছর আগের। অবন্তিকার ব্যাচমেটরা কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। ফেসবুকের কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। জিডি করার সময় অবন্তিকাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ তখন উচ্চতর তদন্তের আশ্বাস দিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গুজব ছড়ানো আইডির পরিচালককে ধরার আশ্বাস দেয়। পরে থানা থেকে বেরিয়ে অবন্তিকা তার বন্ধুদের ফেসবুকের ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে সে গুজব ছড়ায় বলে জানায়। এর জন্য সে দুঃখ প্রকাশ করে। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা প্রক্টর অফিসে এসে অবন্তিকার বিরুদ্ধে গত ০৮.০৮.২০২২ ইং তারিখে একটা লিখিত অভিযোগ দেয়।
 
দ্বীন ইসলাম আরও জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল আমাকে এবং সহকারী প্রক্টর গৌতম কুমার সাহাকে (গণিত বিভাগ) গত ১১.০৮.২০২২ ইং তারিখে তদন্তের দায়িত্ব দেন। পরবর্তী সময়ে গত ১৬.০৮.২০২২ তারিখে প্রক্টর স্যারের উপস্থিতিতে আমি এবং সহকারী প্রক্টর গৌতম কুমার সাহা অবন্তিকা এবং তার অভিভাবকদের প্রক্টর অফিসে আসার জন্য আহ্বান করি। পরে অবন্তিকার মা মিটিংয়ে আসেন এবং অবন্তিকার ক্লাসমেটসহ (অভিযোগকারীরা) সবাই উপস্থিত ছিল।  
 
সে সময় অবন্তিকার মা তার ব্যাচমেট (যারা এ অভিযোগ করেছে) তাদের কাছে ঘটনার সত্যতা শুনে বলেন যে, ‘আমার মেয়ে যা করেছে ভুল করেছে, ঘটনার জন্য অভিযোগকারী সবার কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতে আমার মেয়ে আর এই ধরনের কাজ করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। যদি সে এমন কিছু করে তার দায় আমরা নিবো।’
 
সে সময় বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অবন্তিকার মা অনুরোধ জানান এবং বলেন, আমার মেয়ে ভালো শিক্ষার্থী কিন্তু সে কয়েকদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ এবং ওষুধ খাচ্ছে।
 
তখন তার ব্যাচমেটরা বিষয়টা মানবিক এবং ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখেন। এভাবে বিষয়টা প্রাথমিকভাবে মীমাংসা করা হয়। মীমাংসার পর অবন্তিকার মা জিডিটা তুলে নেয়ার জন্য অভিযোগকারীদের অনুরোধ করেন। কিন্তু অভিযোগকারীরা জিডি তুলে নিতে অসম্মতি জানায়, কারণ তাদের ধারণা অবন্তিকা ভবিষ্যতে এ ধরনের আচরণ আবারও করতে পারে।
 
সহকারী প্রক্টর হিসেবে জিডি তোলার বিষয়ে কিছু করার ছিল না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু প্রতিবেদন দেয়ার অধিকার রাখি। অবন্তিকা ও তার পরিবারের সদস্যদের আমি এ বিষয়ে জানিয়ে প্রক্টর স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করারও পরামর্শ দেই। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও অনুরোধ জানাই বিষয়টি মীমাংসা করতে।
 
তবে অভিযোগকারীরা জানায়, তারা অবন্তিকাকে আগামী ৩ মাস পর্যবেক্ষণ করবে এবং যদি সে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে, তাহলে জিডিটা তুলে নেয়া হবে। এর কিছুদিন পর অবন্তিকা ও তার মা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এবং আমাকে প্রক্টর অফিসে না পেয়ে আমার বিভাগে আসেন। ওইদিন অবন্তিকার মা আমাকে জানান অবন্তিকার হলের বন্ধুরা ওর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছেন না, এতে সে মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়েছে। তখন আমি তাদেরকে প্রক্টর অফিসে লিখিতভাবে অভিযোগ করার পরামর্শ দেই। তখন অবন্তিকার মা বলে যা হওয়ার হয়ে গেছে এখন আর এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে চাইছি না।
 
তখন তিনি বলেন, আমি মেয়েকে আর হলে রাখব না, এতে তার পড়াশোনা খারাপ হয়ে যাবে এবং সে মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়বে। তখন আমি তাকে বলি আপনি অভিভাবক যা ভালো মনে করেন সেটাই করেন। যে কোনো প্রয়োজনে আমার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। অভিযোগ নিষ্পত্তির ৩ মাসেরও কিছুদিন পর অবন্তিকা এবং তার বাবা-মা প্রক্টর অফিসে জিডি তোলার জন্য আসেন, কিন্তু তার ব্যাচমেটরা জিডি তুলতে অসম্মতি জানায়।
 
তখন অবন্তিকার মা-বাবা এবং অবন্তিকা আবার আমাকে ফোন করে আমার বিভাগে দেখা করতে আসেন।
 
তখন তারা জিডি তোলার বিষয়ে আমাকে অনুরোধ করেন। আমি তখন তাদের বিষয়টা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি যে বিষয়টা আমার হাতে নেই। আমাদের কাজ তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করা এবং আমরা তাই করি। জিডির বিষয়ে প্রক্টর স্যার এবং অভিযোগকারীদের সঙ্গে আলাপ করে নিষ্পত্তি করার পরামর্শ দেই।
 
সে সময় অবন্তিকার মা কিছুটা হতাশার ভাষায় বলেন, আমি দুজন (অবন্তিকা এবং ওর বাবা)  ডিপ্রেশনের রোগীকে নিয়ে এত বছর সংসার করে আসছি। আমি নিজেও অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছি।এবং বলেন আমার মেয়েটা মারাত্মক ডিপ্রেশনে পড়ে গেছে। এরপর অবন্তিকা ও তার পরিবারের কারো সাথে এ বিষয়ে আজ পর্যন্ত আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।
 
মৃত্যুর পূর্বে ফেসবুকে দেয়া অবন্তিকার স্ট্যাটাস নিয়ে দ্বীন ইসলামের দাবি, প্রথমত আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ, আম্মানকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ ঘটনা নিষ্পত্তি হয় ১৬/০৮/২০২২ সালে। এরপর এই বিষয় নিয়ে আর কারো সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি কখনোই।
 
এ ছাড়া প্রক্টর অফিসে অবন্তিকা এবং তার মাকে একবারই ডাকা হয়েছিল। সেই সময় প্রক্টর মোস্তফা কামাল, সহকারী প্রক্টর গৌতম সাহা এবং অভিযোগকারী ও তার বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। একাধিকবার ডেকে হেনস্তা করার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। কারণ, বিষয়টি ওইদিনই মীমাংসা হয়ে গিয়েছিল।

সুইসাইড নোটে প্রক্টর অফিসে আম্মানের বিরুদ্ধে আনীত যৌন হয়রানি ও ভয়ভীতির অভিযোগের বিচার না পাওয়ার বিষয়টি তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল ভালো বলতে পারবেন। এ অভিযোগ সম্পর্কে আমি অবগত নই।

দ্বীন ইসলাম সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে বলেন, আমি ১১ বছরের শিক্ষকতা জীবনে অনেক শিক্ষার্থীকে খারাপ অবস্থা থেকে তুলে এনেছি। আমি বলতে চাই অবন্তিকার মৃত্যুর পেছনে বারবার জিডির বিষয়টি উঠে আসছে। ওই বিষয়ে কেবল প্রক্টর স্যার এবং অভিযোগকারীরাই ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আমি কোনোভাবেই দায়ী নই।

বাঁধন/সিইচা/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ [email protected]