চাকরি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ইসলামি ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে ১০ লক্ষ টাকার প্রস্তাবনা দিয়েছেন এক অজ্ঞাত পরিচয়ের চাকরিপ্রার্থী। তবে বিষয়টিকে একটি চক্রের ষড়যন্ত্রের জাল বলে দাবি উপাচার্যের।
গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে উপাচার্যের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠান চাকরিপ্রার্থী। এ ঘটনায় উপাচার্যের নির্দেশে ইবি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান (জিডি নং-১০২১)।
ওই নারী চাকরিপ্রার্থী মেসেজ লেখেন, ১০ লাখ টাকা নেন মিষ্টি খেতে। এটা আমি কাউরে বলবো না।’
জিডিতে বলা হয়, বেলা ১১ টায় উপাচার্যের মোবাইলে মিথি নামক এক অজ্ঞাত নারী উপাচার্যকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অনুরোধ করে মেসেজ পাঠান। এছাড়া মেয়েটি উপাচার্যের সাথে টেলিফোনে কথা বলার জন্য জোরাজুরি করেন। উপাচার্য তার সাথে কথা না বললে ওই মেয়ে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠায়। এ বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করলে উপাচার্যের মানহানি হবে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, এক চাকরিপ্রার্থী মেয়ে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরির অনুরোধ জানিয়ে উপাচার্যকে মেসেজ পাঠিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনানুযায়ী থানায় জিডি করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘সকাল ১১ টায় এক মহিলা কণ্ঠ আমাকে ফোন দিয়ে বললো, স্যার আমি আপনার সাথে কথা বলতে চাই। আমি পরিচয় চাইলে ওই মহিলা বলে চাকরির ব্যাপারে কথা বলবো। আমার তো কুষ্টিয়াতে কেউ নাই। আমি কাউকে চিনি, জানিও না।’ স্যার আপনি কী একা? ‘তখন আমি তার সাথে কথা বলতে আগ্রহী না বলে কল কেটে দিলাম। তিনি আবার অনুরোধ করে বললে, প্লিজ একটা মিনিট একটু কথা বলেন।
তারপর আমি কেটে দিলে একটা মেসেজ পাঠায় যে, ‘১০ লাখ টাকা নেন মিষ্টি খেতে। এটা আমি কাউরে বলবো না।’ উপাচার্য আরো বলেন বলেন, ‘আমার ধারণা এটা একটা চক্রের ষড়যন্ত্রের জাল ছিল। এটার সাথে সাথে আমি জিডিটা করেছি এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি যেন দ্রুত এটা খুঁজে বের করে।’
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর