গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার কাওরাইদ ইউনিয়নের সিপির মোড় এলাকায় তার শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে। ভিকটিম তার ননাশের জামাই জমির উদ্দিনের সাথে ভিকটিমের নিজ বাড়ির উত্তর পাশে মসজিদ মাঠে বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিল শুনতে যায়। মাহফিল শোনা শেষে ভিকটিম তার ননাশের জামাই মোঃ জমির উদ্দিনের সাথে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা ৪ জন লোক ভিকটিমের পিছু নেয়।
ভিকটিম এবং তার ননাশের জামাইসহ গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন শিমুলতলা সুজন-সুমনের বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তার উপর পৌঁছামাত্র অজ্ঞাতনামা ০৪ জন লোক ভিকটিমের ননাশের জামাই মোঃ জমির উদ্দিনকে আটক করে রাখে এবং ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখাইয়া ভিকটিমের মুখ চাপিয়া ধরে সেখান থেকে ২০০ গজ পূর্ব দিকে জনৈক শরাফত আলীর টেক নামক গজারি বনের ভিতর নিয়ে পর্যন্ত আসামিরা ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার পর আসামিরা ভিকটিমকে জঙ্গলের ভিতর রাখিয়া চলে যায়।
পরবর্তীতে, ভিকটিম বাড়ি ফেরার পর তার পরিবারের লোকজনের সাথে আলোচনা করে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ০৪ জন আসামির বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করে। ভিকটিমকে গণধর্ষণের ঘটনায় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানা এলাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর পরেই র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঘটনার বিষয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করেন।
র্যাব জানায়, বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুলফিকার আলী এর নেতৃত্বে এবং র্যাব-১,সিপিএসসি, গাজীপুর এর সহায়তায় একটি যৌথাভিযানিক দল ইং ৩১/০৩/২০২৪ ইং ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানাধীন লংগাইর গোলাবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি মোঃ রাসেল মিয়া (৩২), শিমুলতলা শ্রীপুর, থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। আসামি‘কে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর