সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে পাঁচ বছরের শিশুর সামনে এক বাক প্রতিবন্ধী মাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন বীরেন্দ্র নগর-ইন্দ্রপুর গ্রামের কান্দাপাড়া সড়কে ঘটনাটি ঘটেছে।

এই ঘটনায় অভিযোক্তা বীরেন্দ্র নগর গ্রামের মৃত জহু মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া (২৮) সহ তার সাথে আরও দুই সহযোগী রয়েছে।

ভোক্তভোগীর বাক প্রতিবন্ধী মায়ের চাচা শুনিল বাবু জানান, প্রতিদিনের মত সকাল ইন্দ্রপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে শিশু সন্তানকে সাথে নিয়ে বাগলী শুল্ক স্টেশনের যায় প্রতিবন্ধী ঐ মা। সারাদিন কাজ শেষ করে বিকেলে নিজ বাড়ি ইন্দ্রপুর গ্রামের যাওয়ার জন্য বাগলী (বিরেন্দ্র নগর) থেকে রওনা হয়ে কান্দাপাড়া সড়কে আসা মাত্রই পূর্বে থেকে উৎ পেতে থাকা শাহিন মিয়াসহ তার সাথে আরও দু জন মিলে বাক প্রতিবন্ধী মাকে তার শিশুর সামনেই জোড় পূর্বক ধরে নিয়ে সড়কের পাশে জঙ্গলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ছেলের ও বাক প্রতিবন্ধী মায়ের চিৎকার শুনে স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে জঙ্গলটি ঘেরাও করলে শাহিন মিয়া পালিয়ে যায়। 

এই ঘটনাটি ভুক্তভোগী বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যসহ স্থানীয় এলাকাবাসীকে জানিয়ে ভুক্তভোগীকে নিয়ে  তাহিরপুর থানায় নিয়ে যায় তার চাচা শুনিল বাবু।

৫ বছরের শিশু জয় দেব জানান, আমি আমার মা বাড়িতে ফেরার সময় ঐ লোকটাসহ কয়েকজন মিলে মাকে জোর করে ধরে নিয়ে জঙ্গলে যায়। তখন আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে জঙ্গল থেকে মাকে উদ্ধার করে। 

উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহজাহান খন্দকার জানান বাক প্রতিবন্ধী এক মাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে শাহিন মিয়া নামে এক যুবকসহ দুই তিনজন মিলে আমাকে জানালে আমি তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলেছি।

এই ঘটনার বিচার দাবি করেন মা মায়া রানী। তিনি আরও জানান,আমার স্বামী নাই। কাজ করে জীবন চালাই। মেয়ে কথা বলতে পারে না। দীর্ঘ দিন ধরেই শাহিন মিয়া আমার মেয়েকে চলাচলের সড়ক কাজে যাওয়ার পথে নানান ভাবেই বিরক্ত করত। আমরা গরীব তাই ভয়ে কিছুই বলতাম না। আজকে আমার মেয়েকে বাড়িতে আসার পথে ধর্ষণের চেষ্টা করে। 

তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন জানান,ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে রাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। 

সালাউদ্দিন/সাএ