ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ট্রিপল-ই) বিভাগের নবগঠিত অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কমিটি সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পন্থায় ও প্রভাব খাঁটিয়ে গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, গত ৮ ও ৯ মার্চ বিভাগটির প্রথম পুনর্মিলনী ও সিলভার জুবিলী অনুষ্ঠিত হয়। পরের দিন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় ২২ সদস্যবিশিষ্ট একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। পরে বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী জগলুল পাশা, একই ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, কমিটির সহ-সভাপতি মোকাদ্দেস হানিফ টলিন ও পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাতেমা খাতুন কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিভাগে পত্র প্রেরণ করেন। এরমধ্যে নাসির উদ্দিন ও মোকাদ্দেস হানিফ টলিন কমিটির পদ থেকে অব্যাহতি চান।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে বিভাগের ৪র্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামিমা সুলতান সাগরিকা বলেন, সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সাধারণ অ্যালামনাইদের অনুপস্থিততে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে বিভাগের কর্তব্যরত শিক্ষকদের রাখায় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এছাড়াও কমিটিতে পদবন্টনে সমতা রক্ষা হয়নি বলে দাবি আন্দোলনরত সাবেক শিক্ষার্থীদের।
তারা বক্তব্যে বলেন, ২২ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সভাপতিসহ চারটি পদ একই ব্যাচ থেকে এবং সাধারন সম্পাদকসহ দুটি পদ অন্য একটি ব্যাচ থেকে নেওয়া হয়েছে। ২৩ টি ব্যাচের মধ্যে ৬ টি ব্যাচের থেকে কোন সদস্য নেওয়া হয়নি। এতে শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুন্ন হয়েছেন। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনকে কোন বৈধ কমিটি নিয়োগ দেয়নি। খসড়া গঠনতন্ত্র তেরির সময় কোন অ্যালামনাইয়ের সংশ্লিষ্টতা ছিল না। যারা এখানে সহায়তা করেছেন তাদের নিয়োগ পত্র নিয়ে সন্দহ রয়েছে বলে দাবি করেন।
তাদের দাবি, বর্তমান কমিটি বাতিল করে বিশ্ব সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অ্যালামনাইয়ের গঠনতন্ত্রের আলোকে পুনরায় কমিটি গঠন, কমিটিতে গুরুত্বপূর্ন কোন পদে শিক্ষকদের না রাখা ও সমতার ভিত্তিতে কমিটি গঠন করা।
সংবাদ সম্মেলনে বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের ফাতেমা খাতুন, ড. আবদুল্লাহ আল মাসুদ, দ্বিতীয় ব্যাচের অধ্যাপক জনাব খাইরুল ইসলাম ও কামারুজ্জামানসহ অন্য সাবেক শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের একাডেমিক কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। ঈদের পরে আমরা তাদেরকে নিয়ে বসবো। তখন বিষয়টি সমাধানে আলোচনা হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর