ঈদগাহে ইমাম-মুয়াজ্জিনকে বসিয়ে রেখে টাকা সংগ্রহ করাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে প্রখ্যাত আলেম ও আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, তাদের সম্মানজনকভাবে হাদিয়া দিন।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি এ বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে অনেকেই মন্তব্য করছেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, 'ঈদগাহে ইমাম-মুয়াযযিনকে বসিয়ে রেখে তাদের জন্য গামছা-রুমাল দিয়ে টাকা কালেকশন করা ন্যাক্কারজনক কাজ। ইমাম-মুয়াজ্জিনকে হাদিয়া দিন সম্মানজনকভাবে।'
এখানে অনেকেই সহমত পোষণ করেছেন। খালিদ সাইফুল্লাহ নামক এক ব্যক্তি লিখেছেন, 'গুরুত্বপূর্ণ কথা।' তবে মো. আসাদ মোল্লা লিখেছেন, 'এই প্রথা শুধু গ্রামে চালু আছে।' আবার সাইফুল্লাহ আল মানসুর নামক আরেকজন লিখেছেন, 'সম্মানজনক পদ্ধতিটা কি?'
সুলতান মাহমুদ লিখেছেন, 'কিছু এলাকায় তো সম্মানি দেওয়ার প্রয়োজন বোধটুকুও করা হয় না। কারণ সারা বছর তো ইমাম মুয়াজ্জিনকে হাদিয়া বা বেতন দেওয়া হয় এই যুক্তিতে।'
মুশফিক সালেহিন লিখেছেন, 'তেমনি, খতমে তারাবি শেষে হাফেজে কোরআনদের বসিয়ে রেখে এমন করাটাও ইসলামী গাইরত পরিপন্থী, ও লজ্জাজনক কাজ! কোন গাইরত কিংবা আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন আলেম এটা সহ্য করতে পারে না!'
সাদিকুল ইসলাম সাদিক লিখেছেন, 'যাদের সম্মান আকাশচুম্বী তাদের সম্মানী গামছা ধরে হাত পেতে নিতে হয়। আবার অনেকে ছেড়া নোটও দেয়। আফসোস তাদের জন্য। সিস্টেম পরিবর্তন করতে হবে। ইমামদের সম্মানি সম্মানের সাথেই দিতে হবে। অবশ্যই নতুন নোট দেয়া উচিৎ।'
মো. সজিব আহমেদ লিখেছেন, 'কিন্তু এই ন্যাক্কারজনক কাজটাকেই আমার দেশের ইমাম মুয়াজ্জিন বেশি পছন্দ করে।'
তবে দেলোয়ার উদ্দিন লিখেছেন, 'এটা চিরাচরিত আমাদের দেশের ঐতিহ্য। সবাই মিলে একসাথে কালেকশন করা, অপেক্ষা করে এক সাথে দোয়া পড়া, এটা সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা। ছোট কাল থেকে কখনো কাউকে বলতে শুনি নাই যে ইমাম সাহেব, মুয়াজ্জিন সাহেবরা হাতে পেতে খায় অথবা উনাদের হাতে সাহায্য দিয়েছি। আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি, লুকিয়ে সম্মানী দেওয়া বা নেওয়া কখনো অসম্মানের হতে পারে না! এখানে অসম্মান হওয়ার কিছু নেই! বরং গ্রামের মাতব্বর বা অন্যান্য ব্যক্তিবর্গদের থেকে আলাদাভাবে ইমাম সাহেব ও মুয়াজ্জিন সাহেবদের আলাদা ইজ্জত দিয়ে থাকেন।'
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর