গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদা আখতার বলেছেন, গাজীপুরের বেসরকারি প্রতিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৩ স্তরের ড্রেসকোড নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। যেন হাসপাতালগুলোতে দালাল ও বহিরাগতদের চিহ্নিত করা যায়৷ এছাড়াও ওটিতে (অপারেশন থিয়েটার) ডাক্তারের নাম ঠিকানা লিখে রাখতে হবে। এই কার্যক্রম আগামী সপ্তাহ থেকে সিভিল সার্জন অফিসের তদারকিতে বাস্তবায়ন করা হবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে 'গাজীপুর পরিবেশ আন্দোলন' (গাপা)'র আয়োজনে হাসপাতালে রোগীর জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশসহ উপযুক্ত আবাসন ও সেবা নিশ্চিতে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সিভিল সার্জন।
সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদা আখতার আরো বলেন, লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল কেউ চালাতে পারবে না। সরকারি হাসপাতালে যেমন ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকে, ঠিক সেরকমই বেসরকারি প্রতিটি হাসপাতালে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি রাখতে হবে। আমাদের লোকবলের অভাবে সবকিছু তদারকি করতে পারি না। তবে সবাইকে সচেতনতার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদা আখতারের সভাপতিত্বে গাজীপুর প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ও গাজীপুর পরিবেশ আন্দোলন'(গাপা)'র ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এসময় প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকগণ পরিবেশ বান্ধব, সরকারি সনদ, দূষণ রোধ, পরিবেশ ছাড়পত্রসহ রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল যাতে চলতে না পারে সেদিকে সবার দৃষ্টি আহ্বান করেন।
সিভিল সার্জনের মাধ্যমে এসব হাসপাতালে নিয়মিত তদারকির আহ্বান জানান পরিবেশ আন্দোলনের নেতারা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর