দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ডুগডুগি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) আনোয়ারা বেগম খাদ্য গুদাম সিলগালা করে উধাও হয়েছেন। এব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইউনুস আলীর সন্দেহ হলে তিনি গত বুধবার (১ মে) ঘোড়াঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, বিবাদী আনোয়ারা বেগম (৫৯) উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অধিনস্ত কর্মকর্তা থাকাকালীন সময়ে গত ২৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ হতে কোনো প্রকার ছুটি গ্রহণ না করে সরকারি মালামাল নিয়ে অনুপস্থিত আছেন। বিবাদির ঠিকানায় বারবার নোটিশ করা হলেও তিনি অফিসে আসেননি। বিষয়টি মৌখিকভাবে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলামকে জানানো হলে তার নির্দেশে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আনোয়ারা বেগমের বসতবাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার নুনিয়াগাড়ী গ্রামে গিয়েও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে তিনি সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ করে পলাতক অবস্থায় রয়েছেন। বিষয়টি দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবগত করা হলে তিনি সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহন আহমেদকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পাশাপাশি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের আবেদনের প্রেক্ষিতে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক ঘোড়াঘাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসানকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নিয়োগ দেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত কমিটিকে সাথে নিয়ে খাদ্য গুদামের তালা ভেঙে সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খামাল গণনা শুরু করেন। এতে ৩ টি খামাল গণনা করে ২.৭৫ মেট্রিক টন চাল ঘাটতি পাওয়া যায়। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ইউনুস আলী জানান, ধারণা করা হচ্ছে অন্যান্য খামাল গুলোতে ব্যাপকভাবে চাল ঘাটতি রয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান জানান, আগামী শনিবার পূর্ণাঙ্গভাবে গণনার দিন ধার্য করা হয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর