কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আবছারের কর্মীদের মারধর করে ২০ টি মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসময় জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশকেও বেধড়ক পেটানো হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
বুধবার সকাল ১০ টার দিকে কক্সবাজার শহরের পৌর প্রিপ্যার্যাটরি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মুজিবুর রহমানের লোকজন হামলা চালিয়ে মোবাইলসহ ভোটার স্লিপ ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী।
মেয়র অভিযোগ করে বলেন, পৌর প্রিপ্যার্যাটরি কেন্দ্রে সংখ্যালঘুদের ভোট দেশি। একারণে আনারস প্রতীকের সন্ত্রাসীরা এসে মোটরসাইকেলের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে ভোটার স্লিপ, ২০ টি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে টেবিল চেয়ার ছুড়ে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা। শুধু তাই নয়, একজন হাই প্রোফাইল ব্যক্তি পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশকেও বেধড়ক পেটাতে দ্বিধাবোধ করেনি তারা।
ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে দাবি করে তিনি আরও বলেন, সাধারণ ভোটার যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন। কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা। এছাড়া আরও কয়েকটি কেন্দ্রে তারা ভোটারদের ভয় দেখাতে নানা সমস্যা সৃষ্টি করছেন। আমি প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বলেছি।
মোটরসাইকেলের প্রার্থী নুরুল আবছার বলেন, বল প্রয়োগ করে সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়া তাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। একারণে তারা সবকিছু বল প্রয়োগ করে পেতে চাই। টেলিব নিয়ে বসা আমার কর্মী সমর্থকদের মারধর করে মোবাইল কেড়ে নিয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে তারা হাতাহাতি করেছে। প্রশাসন দ্রুত হস্তক্ষেপ করায় তারা বেশি কিছু করে উঠতে পারেনি।
এবিষয়ে কক্সবাজার সদর থানার ওসি রকিবুজ্জামিন বলেন, একটু ঝামেলা হয়েছিলো একথা সত্য। এরপর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।আমি নিজেই এই কেন্দ্রে উপস্থিত রয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার সদরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২ জন। এতে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান আনারস প্রতীক, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান নুরুল আবছার লড়ছেন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কক্সবাজার পৌরসভা ও ঝিলংজা, পিএমখালী, খুরুশকুল, চৌফলদন্ডী ও ভারুয়াখালী এ পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে সদর উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২২ হাজার ৯৯৬ জন। ভোটকেন্দ্র ৮২টি।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর